উত্তাল পরিস্থিতির জেরে ভারত-বাংলাদেশে সব ট্রেন বাতিল! কতদিন বন্ধ থাকবে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ আগস্ট ২০২৪
এই মুহূর্তে উত্তাল বাংলাদেশ। আন্দোলনের জেরে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তিনি ভারতে পৌঁছে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ আপাতত বাতিল করে দিল ভারত। রেলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে আগামী ৬ অগস্ট পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। উল্লেখ্য, গত মাসে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারত- বাংলাদেশে মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সেই বাতিল অব্যাহত রইল।
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা ও খুলনার মধ্যে বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৬ অগস্ট পর্যন্ত ট্রেনগুলি বাতিল থাকবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩১০৯/১৩১১০ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস আপ ও ডাউন ট্রেন, ১৩১০৭/১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা আপ ডাউন মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১২৯/১৩১২৮ কলকাতা-খুলনা আপ ডাউন বন্ধন এক্সপ্রেস, ১৩১৩১/১৩১৩২ ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি আপ ডাউন মিতালি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলি গত ১৯ জুলাই থেকেই বাতিল রয়েছে।তবে মিতালি এক্সপ্রেস বাতিল ছিল ২১ জুলাই থেকে। এই সমস্ত ট্রেন ৬ জুলাই পর্যন্ত বাতিল থাকবে।
প্রসঙ্গত, হাসিনার পদত্যাগের পরেই অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার ঘোষণা করে বাংলাদেশ সেনা। দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করছে। আপনারা সহযোগিতা করুন। হিংসা বন্ধ করুন। সমস্ত হত্যার বিচার হবে।’
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত মাস থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আন্দোলন কিছুটা থেমে যায়। পরে শনিবার থেকে আবার আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে। গত দুদিনে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে এদিনই ইস্তফা দেন হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়ার পরই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দখল করে নেন আন্দোলনকারীরা। একাধিক জায়গায় আওয়ামী লিগের অফিস ভাঙচুর এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়।