মরা মহানন্দা নদী সংস্কার করার নির্দেশ মালদহের জেলাশাসকের
বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা, চাঁচল: চাঁচলে মরা মহানন্দা নদী অবৈধভাবে দখল হচ্ছে। যার ফলে গতিপথ হারাচ্ছে নদী। সামান্য বর্ষায় জলমগ্ন হচ্ছে গোটা এলাকা। সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শীঘ্রই মরা মহানন্দা নদীর সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
প্রতিবছর বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে মালদহ জেলার চাঁচল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। বর্তমানে বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এলাকার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই এর জন্য দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। সমস্যা মেটাতে এবার আসরে নামলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া।
সোমবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন চাঁচল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার নিকাশি পরিস্থিতি। একই সঙ্গে এদিন মরা মহানন্দা নদী পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন চাঁচলের মহকুমাশাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায় সহ চাঁচল- ১ এর বিডিও, এসডিপিও প্রমুখ।
ওই মরা মহানন্দা স্বরূপগঞ্জ থেকে চাঁচল হয়ে আলালে মহানন্দা নদীতে মিশেছে। চাঁচল ১ ও ২ ব্লকের প্রতিটি গ্রামের জল গিয়ে পড়ে মরা মহানন্দায়।
চাঁচল থানাপাড়ার বাসিন্দা ঝন্টু রবিদাসের কথায়, নদী সংস্কার করার আগে জবরদখল মুক্ত করা প্রয়োজন। তবেই কাজ করা সম্ভব। বর্তমানের থানাপাড়া এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জবরদখলের অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিদের মুখেও। চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অঙ্কুর পোদ্দার বলেন, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। মরা মহানন্দা যে অবস্থায় আছে, পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে কাজ করা অসম্ভব। বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়েছিলাম। চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো সঞ্চালক অমিতেষ পান্ডে বলেন, মরা মহানন্দার উপর অনেক দোকান রয়েছে। তাই তা সংস্কার করা হয় না। জবরদখলের জন্যই নিকাশি সমস্যা হচ্ছে।
চাঁচলের মহকুমা শাসক বলেন, মরা মহানন্দা সংস্কারের জন্য জেলাশাসক কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। সেচ দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে কাজের পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র