• জেলবন্দি বালুর আরও পাঁচটি কোম্পানির হদিশ
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর আরও পাঁচটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। এগুলিতে বিপুল পরিমাণ টাকা ঢুকেছে। আদালতে জমা দেওয়া ফরোয়ার্ডিংয়ে এমনটাই দাবি করেছে ইডি। স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানা দেখিয়ে এগুলি খোলা হলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব ছিল না। 

    বালুর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেটের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোম্পানির তালিকা পায় ইডি। ফরোয়ার্ডিংয়ে তারা জানিয়েছে, এগুলি ঘেঁটে দেখা যায়, পাঁচটি কোম্পানির  মালিক বালু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অংশীদারিত্বে খোলা হয় কোম্পানিগুলি। সমস্ত কোম্পানি খোলা হয়েছে স্ট্র্যান্ড রোডের একটি ঠিকানায়। তদন্তকারীরা ওই ঠিকানায় গিয়ে দেখেন সেখানে কোনও কোম্পানির অস্তিত্ব নেই। সবটাই হয়েছে কাগজে কলমে। অথচ এই কোম্পানিগুলিতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছে। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে এই পাঁচটি কোম্পানিতে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল, যা এসেছে হেফাজতে থাকা আনিসুর রহমান ও আলিফ নুরের কোম্পানি থেকে। এখান থেকে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, এই টাকার পুরোটাই রেশন দুর্নীতির টাকা। কমিশন বাবদ এই টাকা তাঁরা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর কাছে। 

    এই বিষয়ে দুই ভাইকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা জানান, বালুর সঙ্গে তাঁদের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। কিন্তু কী মালপত্র কেনাবেচা চলত, এই প্রশ্নে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের উত্তর দিয়েছেন।  ইডির হাতে নথি অনুযায়ী লেনদেন দেখানোর জন্য ভুয়ো ইনভয়েস তৈরি করা হয়েছে।  অভিযোগ, বালুর হয়ে এই কাজগুলি করেছেন দুই ভাই। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও দুবাইতে তাঁদের ব্যবসা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই কোম্পানিগুলি খোলা হয়েছিল ২০১৫-র পর। তদন্তকারীরা জেনেছেন উত্তর ২৪ পরগনার সমস্ত রেশন ডিলারকে বালুর হয়ে নিয়ন্ত্রণ করতেন আনিসুর ও আলিফ। তাঁরাই দোকানগুলিতে কাঁকরভর্তি চাল ও নিম্নমানের আটা পৌঁছে দিতেন। সেগুলি যেত দুই ভাইয়ের মিল থেকে। এই বিষয়ে তথ্য পেতে রেশন ডিলারদের ডাকা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
  • Link to this news (বর্তমান)