• পড়ুয়াদের আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে গিয়েছে, চট্টগ্রামে দাপাচ্ছে জামাত
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • ডাঃ এ এম আরিফউদ্দীন, চট্টগ্রাম: কীভাবে পরিস্থিতি ব্যক্ত করব! চারদিক জ্বলছে। চট্টগ্রামের ১২টি থানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ডামপাড়ায় পুলিস বারাকে হামলা চলছে। পুলিস পাল্টা গুলি চালিয়েছে। আওয়ামি লিগের নেতা আর সমর্থকদের বাসায় বাসায় হামলা চলছে। সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় আক্রান্ত। চট্টগ্রামের রাস্তায় কাতারে কাতারে মানুষ নেমেছে। কোথাও কোনও পুলিস বা সেনা দেখতে পাচ্ছি না। নৈরাজ্য চলছে। কতজন মানুষ আহত, নিহত—সে খবরও পাচ্ছি না। 

    এই আন্দোলন, এই অভ্যুত্থান আমরা চাইনি। তাহলে আমরা কী চেয়েছিলাম? আমরা চেয়েছিলাম বাংলাদেশে লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ হোক। বৈষম্যের রাজনীতি বন্ধ হোক। বিদ্বেষহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হোক। বৈষম্যহীন সরকার হোক। স্বজনপোষণ বন্ধ হোক। আর এ কী দেখছি! জায়গায় জায়গায় বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা চলছে। এখনই খবর এল, ধানমণ্ডিতে যেখানে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান থাকতেন, যেখানে বঙ্গবন্ধুর জাদুঘর ছিল—সেখানেও আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আসলে ছাত্র আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে গিয়েছে। শাসনকালের শেষ পর্বে আওয়ামি লিগের উপর মানুষের রাগকে হাতিয়ার করে ফায়দা নিতে নেমে পড়েছে এরা। রাস্তায় রাস্তায় কাদের দেখছি আমরা? যাদের দেখছি তারা যে ছাত্র নয়, এ আর বলে বোঝাতে হবে না। জামাত-ই-ইনসাফ, হেপাজত-ই-ইনসাফের সমর্থকরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কী চেয়েছিলাম, আর কী হচ্ছে! সেনাবাহিনীও তাদের নেতাদের সঙ্গেই বৈঠক করল! আমরা চাইছি শীঘ্রই কোনও নিভর্রযোগ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হোক। তারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করাক। তারপর জনগণ যেমন রায় দেবে, তাই হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)