• শ্রাবণের সোমবার এলেই আহিরিটোলার লঞ্চঘাটে দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকে অটোচালকরা
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘যেতে হলে চলুন। সকাল-সকাল মটকা গরম করবেন না। যেতে হলে ২০ টাকা দিয়েই যেতে হবে।’ সাতসকালে এই ভাষাতেই এক যাত্রীকে বলছেন এক অটোচালক। ঘটনাস্থল আহিরিটোলা ঘাট স্ট্রিট। শ্রাবণ মাস চলছে। তার উপর এদিন ছিল সোমবার। ফলে নিমতলায় ভূতনাথ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল। সেই সঙ্গে গঙ্গা পারাপারের যাত্রীদের ভিড় তো রয়েছেই। তার মধ্যেই পুজোর অজুহাত দেখিয়ে আহিরিটোলা স্ট্রিটে অটোচালকদের একাংশের হুজ্জুতি চরমে উঠেছে। অভিযোগ, দ্বিগুণ ভাড়া দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।

    আহিরিটোলা লঞ্চ ঘাট থেকে শোভাবাজার মোড় (মেট্রো) পর্যন্ত অটো ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। সেই ভাড়াই এখন দ্বিগুণ চাইছেন চালকরা। একই অবস্থা লঞ্চঘাট থেকে হাতিবাগান কিংবা উল্টোডাঙাগামী অটোতেও। পুজোর ভিড়ের কারণে বি কে পাল মোড় থেকে সোজা আহিরিটোলা স্ট্রিট হয়ে লঞ্চঘাট যাওয়ার রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিস। তাই ঘুরপথে শোভাবাজার রেলগেটের সামনে দিয়ে শোভাবাজার মোড়ে যেতে হচ্ছে অটোচালকদের। ফলে, অটোচালকদের একাংশ পুজোর ভিড়কেই এখন অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছেন। ঘুরপথে অটো নিয়ে যাওয়ার অছিলায় অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকচ্ছেন।

    এদিন সকালে গিয়ে দেখা গেল, লঞ্চঘাট সংলগ্ন রেলগেটে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একের পর এক অটো। কিন্তু, বেশি ভাড়া চাওয়ায় মাঝেমধ্যেই যাত্রীদের সঙ্গে বচসা হচ্ছে অটোচালকদের। হাওড়ার বাসিন্দা শ্রীময়ী দত্তের কথায়, শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারই এদের বায়নাক্কা বেড়ে যায়। ১০ টাকার জায়গায় ১৫ টাকা নিলে ঠিক আছে, তাই বলে ২০ টাকা! চালকরা পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে খারাপ ব্যবহার করেন। 

    যদিও, অটোচালকদের একাংশের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ অন্যান্য অটোচালকরা। আহিরিটোলায় দুর্গাপুজো যেখানে হয়, তার সামনে দাঁড়িয়ে এক অটোচালকের বললেন, যাত্রীদের সঙ্গে সারা বছরের কারবার। খারাপ ব্যবহার করে কী লাভ! শোভাবাজার রেলগেট হয়ে ঘুরপথে গেলে খরচ পোষাবে না। সেক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া চাইতে হবে। ঝামেলা হবে। তাই আহিরিটোলা মোড়েই অটো ঘুরিয়ে যাত্রী তুলে ফিরে যাচ্ছি। বাড়তি ভাড়া চাইছি না। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে স্থানীয় কাউন্সিলার বিজয় উপাধ্যায় বলেন, বাড়তি ভাড়া চাওয়া উচিত হয়নি। আমি অটো ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলব। 
  • Link to this news (বর্তমান)