• তারকেশ্বরে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড়ে নাজেহাল প্রশাসন, নজর সিসি ক্যামেরায়
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: শ্রাবণের তৃতীয় সোমবার পুণ্যার্থীদের জোয়ারে ভাসল তারকেশ্বর। রাস্তায় শুধু লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের মাথা ছাড়া কিছুই দেখা যায়নি। একাধিক লোহার গেট বসিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দিনভর কন্ট্রোল রুমে সিসি টিভিতে চোখ ছিল পুলিস সুপার সহ একাধিক পুলিসকর্তার। তবে হাজার কষ্টের মধ্যেও পুণ্যার্থীদের আনা হরেকরকমের মডেল মন কেড়েছে সকলের। এই বছরের সব থেকে বেশি ভিড় এই শ্রাবণের তৃতীয় সোমবারেই হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল তারকেশ্বরে পুণ্যার্থীদের আগমন। সোমবার ভোরে লক্ষ লক্ষ ভক্তকে সামলাতে কালঘাম ছুটেছে প্রশাসনের। তিন কিলোমিটার দূর থেকে লোহার গেট বসিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস। সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে গেটের নম্বর অনুযায়ী খোলা ও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে পুণ্যার্থীদের মন্দিরের দিকে ছাড়া হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই পুলিসের এই উদ্যোগ। কন্ট্রোল রুমে ভিড় সামলাতে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন হুগলি জেলার পুলিস সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেন সহ পুলিস আধিকারিকরা। তবে ভিড়ের জন্য অনেক পুণ্যার্থী তারকেশ্বর মন্দিরে পৌঁছতেই পারেননি। তাই বিকল্প শিবমন্দির খুঁজতে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য ছিল লোকনাথ, ভূতনাথ মন্দির অথবা কোনও ক্লাবের সামনে বসান শিবলিঙ্গ। 

    পুরসভা ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শৌচালয় খোলা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যশিবিরও ছিল। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ার কয়েকটি পেজ থেকে তারকেশ্বরে ভুয়ো দুর্ঘটনার খবর ছড়ানো হয়। প্রায় ৩২ কিলোমিটার পথ হেঁটে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজন বোধে কয়েকজনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। তৎপর ছিল দমকল বাহিনী। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা তারকেশ্বর মন্দিরের দুধপুকুরে সতর্ক ছিলেন‌। পুরসভার সাফাইকর্মীরাও দিনে ও রাতে সাফাইয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)