সেচদপ্তরের প্রকল্পের জন্য বন্যা থেকে রেহাই উদয়নারায়ণপুরের
বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া তিন হাজার কোটি টাকায় রাজ্যের পাঁচটি জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেচদপ্তর। সম্প্রতি ডিভিসির ছাড়া জলে আমতা, উদয়নারায়ণপুরে বিভিন্ন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যার কোন আঁচ পাননি বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেচদপ্তরের মেগা প্রকল্পের সৌজন্যেই বন্যা এখনও হয়নি বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ওয়াকিবহাল মহল।
গত কয়েকদিন ডিভিসি লাগাতার জল ছাড়ায় আমতা ২নং ব্লকের পাশাপাশি উদয়নারায়নপুরেও বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছিল। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাবধানতার পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সর্তক করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বন্যা হয়নি। সোমবার সকালে উদয়নারায়ণপুরের বকপোতা সেতুর কাছে দেখা গেল, দামোদরের দু’টি পাড় জলমগ্ন। নদীতে জলের প্রবল স্রোত। পাড়ে উৎসাহী মানুষের ভিড়।
এদিকে, জলের চাপে রবিবার রাতে মনসুকায় বাঁধের ৫০ মিটার অংশ বসে যায়। সেচদপ্তরের তরফে রাতেই সেখানে বালির বস্তা ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তবে বন্যা না হলেও ডিভিসির ছাড়া জলে নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ কিছু জমিতে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, অন্যান্যবার ৬০-৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়লেই উদয়নারায়ণপুর প্লাবিত হয়ে যেত। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ হওয়ায় বন্যার হাত থেকে এবার মনে হয় রক্ষা পাওয়া যাবে। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, ডিভিসির ছাড়া জলে উদয়নারায়ণপুরের কোথাও কোন ক্ষতি না হলেও সোমবার সন্ধ্যায় হরিপুর হোদল এলাকায় নদীবাঁধ চুঁইয়ে জল ঢুকছে। সেখানে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। বিধায়কেরও দাবি, বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্রকল্পের কাজ হয়েছে বলেই এবার দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পরেও উদয়নারায়ণপুরের মানুষ বন্যার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন।