• নিয়োগ মামলার আজ শুনানি সুপ্রিমে, প্রশ্ন পর্ষদ ও কমিশনের হলফনামায়
    এই সময় | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আলাদা আলাদা ভাবে নিজেদের বক্তব্য হলফনামার আকারে জমা দিল। এই হলফনামায় রাজ্যের দু’টি প্রতিষ্ঠান দু’রকম যুক্তি দিয়েছে বলে আইনজ্ঞদের বক্তব্য।এসএসসি-র নবম থেকে দ্বাদশে শিক্ষক এবং গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি খারিজ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এসএসসি জানাল, চারটি বিভাগে অযোগ্য চাকরি প্রাপকের সংখ্যা ১২১২।

    তাদের দাবি, এই ১২১২ জনের ক্ষেত্রেই কোনও সুপারিশপত্র দেয়নি কমিশন। অথচ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, যে কোনও পরীক্ষার্থীকে তখনই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়, যখন এসএসসি তার নাম সুপারিশ করে। হলফনামায় বোর্ডের দাবি, এসএসসি-র দেওয়া তথ্য ছাড়া কোনও কিছুর উপরেই নির্ভর করা হয় না। বোর্ডের স্পষ্ট বক্তব্য, তারা কোনও অতিরিক্ত নিয়োগ দেয়নি। এ দিকে হলফনামার সঙ্গেই অযোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    এসএসসির জম দেওয়া অযোগ্যদের তালিকা অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে গ্রুপ সি-তে র‍্যাঙ্ক জাম্প করা ব্যক্তির সংখ্যা ১৩২। গ্রুপ সির ক্ষেত্রে প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ করা হয়েছে ২৪৯ জনকে। অর্থাৎ গ্রুপ সি-তে মোট অযোগ্য চাকরিপ্রাপকের সংখ্যা এখনও ৩৮১ জন। আবার গ্রুপ ডি পদে র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়ার সংখ্যা ২৩৭ জন। গ্রুপ ডিতে প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৭১ জন। ফলে গ্রুপ ডি-তে মোট ৬০৮ জন ওই পদে এ ভাবে চাকরি পেয়েছেন।

    আবার নবম-দশমে শিক্ষক হিসেবে র‍্যাঙ্ক জাম্প করে ৭৪ জন নিয়োগ পেয়েছেন। নবম-দশমে প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১১১ জন। অর্থাৎ নবম-দশমে মোট ১৮৫ জন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। আবার একাদশ-দ্বাদশে র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরিপ্রাপকের সংখ্যা ২০। ওই একই শ্রেণিতে প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ হয়েছে ১৮ জন। অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশে মোট অযোগ্য চাকরিপ্রাপকের সংখ্যা ৩৮।

    অন্যদিকে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী কোথায় কত নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তার সব তথ্যই তুলে দিয়েছে আদালতে। বোর্ডের যুক্তি, নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও কেউ যোগদান না করলে সেই শূন্যস্থানে বোর্ড অন্য পরীক্ষার্থীকে সুযোগ দিয়েছে। কোনও অতিরিক্ত নিয়োগ হয়নি। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীনও এসএসসি ও বোর্ডের জমা দেওয়া তালিকা মেলেনি।

    প্রশ্ন ওঠে, অতিরিক্ত নিয়োগ কী ভাবে হয়েছে? শীর্ষ আদালতে বোর্ড জানিয়েছে, সুপারিশপত্র ও নিয়োগপত্র দু’টি আলাদা। ফলে এসএসসি যে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছে, তার সঙ্গে বোর্ডের পাঠানো নিয়োগপত্রের সংখ্যা মিলবে না।
  • Link to this news (এই সময়)