সোমবার দুপুরের পর থেকেই বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সতর্ক রয়েছে BSF। মঙ্গলবার, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে আসেন BSF-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী। সূত্রের খবর, আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন ডিজি।কোচবিহার জেলায় চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খোলা রয়েছে। এদিন সকাল থেকে দু’দেশের বাসিন্দারা যাতায়াত শুরু করেছেন। পাশাপাশি, ২০০-র বেশি ট্রাক যেগুলো পণ্য নিয়ে ওপারে গিয়েছিল, সেই ট্রাকগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য এদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা বাংলাদেশে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া। বন্ধ রয়েছে যাত্রী পারাপারও। ভারত থেকে পিঁয়াজ, লঙ্কা সহ খাদ্যদ্রব্য বাংলাদেশে রপ্তানি করা হলেও, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আমদানি করা হয় চট, জামা-কাপড়, চানাচুর, বিস্কুট, প্লাস্টিকের আইটেম, রান্নার তেল, ঝাড়ু। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে তৈরি হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য আদান-প্রদান।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা পণ্যের ক্ষেত্রে তেমনভাবে প্রভাব না পড়লেও, ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে বলেই আশঙ্কা করছেন পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং বিভাগের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী। পরিস্থিতির কারণে ব্যাট সীমান্ত এলাকায় ব্যবসাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকায় অটো ও ছোট গাড়িগুলিতে কোনও ভাড়া হচ্ছে না। মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলিও প্রায় জনশূন্য। বাংলাদেশে এখনও আটকে বহু ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও খালাসিরা। সীমান্তে জারি কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অন্যদিকে, মালদা জেলার মহদিপুর স্থলবন্দরে আপাতত বন্ধ রপ্তানি। তবে মঙ্গলবার সকালে মহদিপুর বন্দরে এ দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জিরো পয়েন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ইতিমধ্যেই ২২৯ টি গাড়ি বাংলাদেশে আটকে রয়েছে। গাড়িগুলি খালি করার কাজ ইতিমধ্যে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। খালি গাড়িগুলি আনতে ১১২ জন ভারতীয় লরি চালক বাংলাদেশে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।