ফ্যাশন ইউনিভার্সিটি হচ্ছে সুকনায়, ভিজিটর মুখ্যমন্ত্রী
এই সময় | ০৬ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হবে কিনা, তা ভবিষ্যতই ঠিক করবে বলে বিধানসভায় মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার দি স্কিল, নলেজ অ্যান্ড ফ্যাশন ইউনিভার্সিটি বিল নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নামে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত। তবে এতে উনি রাজি হবেন না। কোনও কোনও সরকার সবকা সাথ বলে ডঙ্কা বাজায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করেন না। উনি বাঙালি-অবাঙালি ও দলিত-ব্রাহ্মণ বিভাজন করেন না।’এর পর তাঁর সংযোজন, ‘মমতার নামে বিশ্ববিদ্যালয় বা স্টেডিয়াম (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম বা আহমেদাবাদে তাঁর নামে স্টেডিয়ামের সরাসরি উল্লেখ না করে ব্রাত্যর কটাক্ষ) হবে কিনা, তা ভবিষ্যতই বিচার করবে। আমাদের সময়ে করলে লোকে দু’কান কাটা বলবে।’ বিধানসভায় এ দিন পাশ হওয়া বিলে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এ নিয়ে বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি ভিজিটর হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী কেন ভিজিটর হবেন না? উনি (মুখ্যমন্ত্রী) তো চ্যান্সেলর হচ্ছেন না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কারা দিচ্ছে ও কোথায় দিচ্ছে, এ প্রসঙ্গে ব্রাত্যর জবাব, ‘কোনও সরকারি জমির বিষয়ই নেই। এমনকী রাজনৈতিক অনুপ্রবেশও ঘটবে না।’ তাঁর কথায়, ‘আমরা এখানে আর্টিস্ট তৈরি করব। প্লেসমেন্টেরও ব্যবস্থা আছে।’
বিধানসভা প্রাঙ্গণে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ ও সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ১২টি ক্যাম্পাস রয়েছে। কিন্তু কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। সে জন্যেই সরকারকে অ্যাপ্রোচ করেছিলাম। আমাদের কনসেপ্ট কেজি টু পিএইচডি। আমাদের ছেলেমেয়েদের কলকাতায় আসতে হচ্ছে।
নতুন প্রতিষ্ঠানে আলাদা স্কিল সেগমেন্ট থাকবে, প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। চা-শিল্প এবং পর্যটনে প্রচুর কাজ সৃষ্টি করাই ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য।’ তাঁর বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফ্যাশনে ইন্টারেস্ট রয়েছে। এটা দেশে প্রথম ফ্যাশন ইউনিভার্সিটি। নর্মাল ডিগ্রি ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স থাকবে।
ফ্যাশন ডিজাইন, মানেজমেন্ট, মার্কেটিং থাকবে। হোটেল ম্যনেজমেন্ট এবং ট্যুর অপারেটার প্রোগ্রামও হবে। সুকনায় ক্যাম্পাস রেডি। সাড়ে ১০ একর জমি। এখন ৩ লক্ষ বর্গফুট বিল্ট-আপ এরিয়া। আগামী শিক্ষাবর্ষেই (২০২৫) চালু হবে বিশ্ববিদ্যালয়।
উত্তরবঙ্গেই কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়? বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের এই প্রশ্নে ব্রাত্যর জবাব, ‘মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যে উচ্চশিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ চাইছেন। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছড়িয়ে দিতে চাইছেন।’ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে আমিও পরামর্শ দিতে বা সাহায্য করতে পারি।’