• বারুইপুরে রিল বানাতে গিয়ে বিপত্তি, সাড়ে ১৮ ঘণ্টা বাদে উদ্ধার কিশোরের দেহ
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: রবিবার বিকেলে নিকাশি পাম্পিং স্টেশনের সংরক্ষিত এলাকায় স্রোতের মতো জল বইছিল। সেই স্রোতের মুখে দাঁড়িয়ে রিল বানাতে গিয়ে ভেসে গিয়েছিল বছর পনেরোর মহম্মদ শামিম। মল্লিকপুরের বাসিন্দা সে। সাড়ে ১৮ ঘণ্টা বাদে সোমবার ওই পাম্পিং স্টেশনের জলের নীচে পাথরের ধার থেকে উদ্ধার হল তার মৃতদেহ। শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। বারুইপুরের উত্তরভাগে এই পাম্পিং স্টেশনের পাঁচিল টপকে অবাধে ঢোকে বহিরাগতরা। এমনকী, বাইরে থেকে জেলের দল জোর করে ঢুকে মাছ ধরে এখানে। এই স্টেশনের ভিতরে সেচ দপ্তরের অফিস থাকে তালাবন্ধ। অভিযোগ, দপ্তরে কেউ আসে না। থাকে না কোনও নজরদারি। এ প্রসঙ্গে বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এ নিয়ে মিটিং ডাকা হয়েছে। 

    এদিকে, কিশোরের দেহ উদ্ধার করতে পুলিস ও প্রশাসন রাত থেকেই জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছিল। শেষে এদিন বেলার দিকে তল্লাশি চালানোর সময় নজরে আসে জলের নীচে পাথরের কাছে আটকে আছে দেহ। এরপর পাম্প বন্ধ করে দেহটি উদ্ধার করা হয়। বারুইপুর থানার পুলিস দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই পাম্পিং স্টেশনে নিরাপত্তাকর্মী আছেন মোট ১৪ জন। অভিযোগ, তাঁরা গত ৭-৮ মাস বেতন পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, দুপুরের পর রোজই বহিরাগতদের ভিড় বাড়ে। তখন জলের স্রোতও বেশি থাকে। কেউ কেউ সেলফি তোলে, রিল বানায়। গেট বন্ধ থাকলে পাঁচিল টপকে বা উত্তরভাগ সেতুর পাশ দিয়ে চলে আসে ভিতরে। এমনও দিন গিয়েছে, তারা লাঠি হাতে তাড়া করেছে নিরাপত্তা কর্মীদের। এর ভিতরেই উত্তরভাগ মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিকাল সাব ডিভিশন অফিস আছে। কিন্তু তা তালা বন্ধই থাকে। ফলে পাম্পিং স্টেশনে কী হচ্ছে, সেদিকে কারও নজরদারি নেই।
  • Link to this news (বর্তমান)