• হুগলিতে জি টি রোডের দু’ধারে নানা জায়গায় পড়ে রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী, ক্ষোভ বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: হুগলি জেলার প্রায় সর্বত্রই রাস্তার ধারে প্রতিদিন পড়ে থাকে নির্মাণ সামগ্রী। বালি থেকে ইট, স্টোন চিপস, লোহার রড— সবকিছুই পড়ে থাকে রাস্তায়। মূলত, উত্তরপাড়া থেকে পাণ্ডুয়া হয়ে হুগলির বুক চিরে চলে যাওয়া জি টি রোডের সর্বত্রই এই দৃশ্য স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, গোটা হুগলি জেলায় প্রোমোটারির রমরমা কারবার চলছে। তার জেরেই জি টি রোডের ফুটপাত হয়ে উঠেছে ইমারতি সামগ্রীর ‘মজুতঘর’। শুধু জি টি রোড নয়, বিভিন্ন পুরসভা এলাকাতেও একই দৃশ্য দেখা যায়। বাসিন্দারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের জেরে ফুটপাত থেকে জবরদখল সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ফুটপাত থেকে ইমারতি দ্রব্য সরানোর নামগন্ধ নেই ব্যবসায়ীদের।

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত বুধবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন হুগলির জেলাশাসক নিজেই। তিনি বৈঠকে বলেন, রাস্তা অপরিসর হয়ে যাচ্ছে। ইমারতি সামগ্রী রাস্তার ধারে দীর্ঘসময় ধরে ফেলে রাখার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। এ নিয়ে বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রশাসন, পুরসভার নাকের ডগায় এই ঘটনা ঘটছে। উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, উত্তরপাড়া এলাকায় এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে পদক্ষেপ করা হয়। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হবে। 

    চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, শহরে রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী মজুত না করতে বলা হয়েছে। ওই রকমের ঘটনা ঘটলেই আমরা ব্যবস্থা নিই। হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে আনা হয়েছে। এই সমস্যা সর্বত্রই আছে। এ নিয়ে বুধবার জেলাশাসক স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছেন। আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, রাস্তার ধারে কোনও কিছু মজুত করা নিয়ে পুরসভা বা পঞ্চায়েতের কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। সেক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভা বা পঞ্চায়েত পদক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু প্রোমোটাররা অর্থ ও বাহুবলে বলীয়ান। সেকারণে তাঁদের বিরুদ্ধে আম জনতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বা অভিযোগ জানাতে ভয় পান। 

    হুগলিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রোমোটারদের রমরমা শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাস্তার ধারে ইমারতি সামগ্রী জমিয়ে রাখার প্রবণতা। জি টি রোডের মতো ঐতিহ্যবাহী রাস্তা থেকে পাড়ার রাস্তা, সব জায়গাতেই এই দৃশ্য আকছার দেখা যায়। তাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যেমন বাড়ছে, তেমনই স্থানীয়স্তরে তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা। প্রশাসন এব্যাপারে নির্বিকার বলেই অভিযোগ
  • Link to this news (বর্তমান)