প্রদ্যুত্ দাস: এত বড় চাঞ্চল্যকর ঘটনা, তাও আবার সরকারি হাসাপাতালে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। কারণ হাসপাতালের শৌচালয় থেকে শিশুর পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি মহাকুমা হাসপাতালে। ঘটনা খবর পেয়েই হাসপাতালের সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে পুলিস। সোমবার দুপুর নাগাদ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি অবজারভেশন রুমের বাথরুম থেকে শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।
এদিন এক রোগীর আত্মীয় শৌচালয়ে গিয়ে শিশুর দেহটি থেকে পড়ে থাকতে দেখে। এরপর তার চিৎকারে ছুটে আসে হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা। রীতিমত হুলুস্থুল কান্ড বেঁধে যায় হাসপাতালে। এরপর হাসপাতালের তরফে সাফাই কর্মীরা দেহটি উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য-সহ পুলিস কর্মীরা।
ঘটনার তদন্তের স্বার্থে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের চেম্বারে বৈঠক করে পুলিস আধিকারিকরা। তবে এদিনের ঘটনায় হাসপাতালে নজরদারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রতিদিনের মতো শৌচালয় খোলা ছিল। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে, কে ওই শিশুর দেহটি শৌচালয়ে ফেলে গেল। তবে কতদিনের শিশুর দেহ এটি তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিস পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
এ বিষয়ে ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অঙ্কুর চক্রবর্তী বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে পুলিস। সকাল থেকে শৌচালয় খোলা ছিল। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।