লাগাতার বৃষ্টিতে ডুবল বর্ধমান পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড, বিপর্যস্ত জনজীবন
এই সময় | ০৬ আগস্ট ২০২৪
পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। নিম্নচাপ সরলেও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। টানা তিন ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টিতে ডুবল বর্ধমান শহরের একাধিক এলাকা। জানা গিয়েছে, শহরের ২৭, ২৯, ১৯, ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত এলাকবাসীর।সোমবার রাতের টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বর্ধমানের সুভাষপল্লী, শুলিপুকুর মাঠপাড়া, লক্ষীপুরমাঠ সহ একাধিক এলাকা, অধিকাংশ রাস্তাই জলের নীচে। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকার কারণেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে দাবি সুভাষপল্লী এলাকার স্থানীয়দের। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী এলাকায় গিয়ে দেখা গেল রাস্তাঘাট জলের তলায়। বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢুকেছে। নিকাশি নালা ঠিকভাবে সংস্কার না হওয়ায় এলাকায় বৃষ্টির জল বেরোতে পারছে না দাবি করছিল স্থানীয় বাসিন্দারা।
নার্সকোয়াটার মোড়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা জলমগ্ন। সমস্যায় পড়ছে পথচলতি মানুষ সহ স্কুল পড়ুয়ারা। আবার বর্ধমান হাসপাতালে যাওয়ার পথে জল থাকায় নার্স ও ডাক্তাররাও পড়েছে সমস্যায়। রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় জমা জলে জাল ফেলে মাছ ধরতে ব্যস্ত এলাকার অনেকেই। বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাজেপ্রতাপপুর এলাকার সুভাষপল্লী, মাঠপাড়া এলাকায় সেচনালার জল উপচে পড়েছে। বৃষ্টির জলে প্লাবিত পুরো এলাকা।
মাঠপাড়া এলাকার বেশীরভাগ বাড়িতেই জল ঢুকেছে। রাস্তাঘাট জলে থৈ থৈ করছে। এলাকায় থাকা বেশীরভাগ মানুষকে উদ্ধার করে স্কুল ও ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শহর এলাকার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান পুরসভার পুরপতি পরেশচন্দ্র সরকার জানিয়েছেন,জল উঠেছে, আবার নেমে যাবে। এতে আমরা কী করব? লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নিকাশি ব্যবস্থা, ড্রেন সংস্কার করা হয়েছে। জল বেড়ে গিয়েছে এলাকায় জল ঢুকছে। বাঁকার জল কমে গেলে এলাকা থেকে জল নেমে যাবে। দ্রুত জল নেমে জনজীবন স্বাভাবিক হোক, সেটাই চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।