• পণ্য পরিবহণ চালু ঘোজাডাঙায়, আতঙ্ক নিয়েই ওপারে যাচ্ছেন ট্রাক চালকরা
    এই সময় | ০৬ আগস্ট ২০২৪
  • অবশেষে ধীর গতিতে চালু হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর ঘোজাডাঙা। আন্তজার্তিক বাণিজ্য চালু হলেও এখনও যেন আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের।সোমবার হাসিনা সরকারের পতনের পর তৈরি হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সীমান্তের সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এদিন আবারও ফের কিছুটা ছন্দে ফেরার চেষ্টা দেখা গেল বসিরহাট ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে। মঙ্গলবার বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে প্রবেশ করেন বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিকরা। তবে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা নাগরিকদের চোখে মুখে যেন এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

    দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন ও পরবর্তীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের রূপ নেওয়ায় পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে দখল নেয় গণভবনের। তারপর থেকেই মূর্তি ভাঙা থেকে শুরু করে সরকারি সম্পত্তি লুটপাট তাণ্ডব হিংসার ছবি ভেসে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    এই পরিস্থিতি দেখেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট। ফলে গতকাল থেকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল। পণ্যবোঝাই হাজার হাজার ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ে সীমান্তে। তবে এদিন ১২ টার পর থেকে আবারও ধীরে ধীরে পণ্যবাহী ট্রাক চলা চলের ছবি ধরা পড়ে। কিন্তু গতকালকের হিংসার ঘটনার পর ভারত থেকে বাংলাদেশ যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের এখন একটাই আতঙ্ক। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে কোনো ভাবে তাদের ট্রাকগুলির উপর লুটপাট চালানো হবে না তো? আর তা নিয়েই এখন রীতিমতো আতঙ্কে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালকেরা। এক ট্রাক চালক বলেন, ‘আজকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে, ভয় তো আছেই। ওখানে যা অশান্তি হচ্ছে, সেটা ভেবেই ভয় লাগছে।’

    পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকে যেসব পর্যটকরা এদিন ভারতে আসেন তাঁদের চোখে মুখেও যেন আতঙ্ক ধরা পরল। অনেকেই আবার ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই আতঙ্ক নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরলেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালানো হলেও সীমান্তে এখনও রয়েছে কড়া নজরদারি।
  • Link to this news (এই সময়)