• প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশের হোটেলের ৪ তলা থেকে ঝাঁপ ভারতীয় যুবকের, ভাঙল ২ পা
    এই সময় | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • বাংলাদেশে কয়েকদিন আগে ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন অসমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শাহিদ আলি। তখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা তপ্ত হয়নি। দুজনে যশোরের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সোমবার বিকেলে তাঁদের হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন শাহিদ। মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরেন তাঁরা। পা ভেঙেছে শাহিদের।তাঁরা জানাচ্ছেন, যশোরের একটি হোটেলের ১২ তলায় তাঁরা ছিলেন। সোমবার দুপুরে তাঁরা হোটেলের বাইরে কিছু আওয়াজ শুনতে পান। সেই সময় তাঁরা জানালা খুলে দেখেন আন্দোলনকারীরা গোটা হোটেল ঘিরে ফেলেছেন। এরপর প্রাণের ভয়ে তাঁরা সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে যান। কিন্তু, বুঝতে পারেন হোটেলের নীচে আগুন ধরানো হয়েছে। এরপর চারতলা থেকে পার্শ্ববর্তী একটি বিল্ডিংয়ে গিয়ে নীচে ঝাঁপ দেয় দুই ভাই। শাহিদের দুই পা ভেঙেছে। আঘাত লেগেছে তাঁর পিঠেও। অন্যদিকে, রবিউলের দেহেও রয়েছে পোড়ার ক্ষতচিহ্ন।

    মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরেন তাঁরা। ভারতে পা রেখেও ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে পারছেন না এই দুই ভাই। রবিউল বলেন, ‘জীবনে এই ধরনের কোনও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, তা ভাবতেও পারিনি। এখনও হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। আমার শরীরের একাধিক অংশ পুড়ে গিয়েছে।’ অন্যদিকে, শাহিদের দুটি পা ভেঙে গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর ঢাকা ছাড়েন তিনি। তারপর থেকেই দফায় দফায় তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ। একাধিক হোটেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে খবর। বেসরকারি সূত্রে খবর, রাত পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০৯ জনের। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, সেখানে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গড়া হবে। তার রূপরেখা কী হতে চলেছে তা নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধান বৈঠক করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের একটি দল। এ দিনের বৈঠকের পরেই অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের রূপরেখা অনেকটাই স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)