• এবার অন্য ‘কোটা’ আন্দোলনের আঁচ বাংলায়, বিতর্ক মুর্শিদাবাদে...
    আজকাল | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। আর এবার অন্য এক কোটা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল মুর্শিদাবাদে। গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে'র ‘কোটা’ দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যকে অন্ধকারে রেখে সদস্যদের জন্য গৃহ নির্মাণের কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৭৮ আসন বিশিষ্ট মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে বিরোধী দলের সদস্যদের জন্য এই প্রকল্পে কোনও কোটা বরাদ্দ করা হয়নি বলেও অভিযোগ। কোটা বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহ-সভাধিপতি শাহনাজ বেগম।।

    আবার, এই প্রকল্পেই বিধায়কদের কোটা বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের তরফে ‘বৈষম্য’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের এক তৃণমূল সদস্য জানান, ‘জেলা পরিষদের সদস্যদের জন্য এই প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ করার কোটা নিয়ে সভাধিপতি কোনও সাধারণ বৈঠক ডাকেননি’। এই ঘটনার পরেই সমাজমাধ্যমে গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হন তৃণমূল সদস্যা শাহনাজ বেগম। সমাজমাধ্যমে তিনি দাবি তোলেন জেলা পরিষদকে এই প্রকল্পে মোট কত বাড়ি দেওয়া হয়েছে তা প্রকাশ্যে জানানো হোক। তাঁর বক্তব্য, ‘জেলা পরিষদে বা ওই গ্রূপে আমাদের কথা বলার জায়গা নেই। গতকাল বাধ্য হয়ে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন তোলার পর মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই আমরা দেখতে পাই জেলা পরিষদ সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে নতুন একটি মেসেজ করে জানানো হয়েছে সদস্যদের জন্য গৃহ নির্মাণ 'কোটা' ৭ থেকে বাড়িয়ে ১০ করা হচ্ছে। নোটিশ দেওয়া হচ্ছে অথচ সেখানো কোনও স্বাক্ষর নেই।

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমি শুনেছি এই প্রকল্পে বিধায়কদের বিভিন্ন সংখ্যায় গৃহ নির্মাণের 'কোটা' দেওয়া হচ্ছে। আমাকে ৩০ টি ঘরের 'কোটা' দেওয়া হয়েছে। এই 'কোটা' কে ঠিক করেছে ,কিভাবে হচ্ছে, কিছুই জানিনা। 'কোটা' বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকলে বিধায়কদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে’। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানাকে ফোন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। তবে জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি আতিবুর রহমান জানান, ‘জেলা পরিষদের জন্য মোট কত ঘর বরাদ্দ হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমাকে এই সংক্রান্ত কোনও   বৈঠকে ডাকাও হয়নি। সেখানে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি জানি না’।
  • Link to this news (আজকাল)