• ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানির দিন পিছোল
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • দিল্লি, ৬ আগস্ট: সুপ্রিম কোর্টে আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেলেন চাকরি বাতিল হওয়া রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। গত ১৬ জুলাই এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়ে ৬ আগস্ট করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই এই মামলার শুনানি চলছিল। লোকসভা ভোটের আগে তিনিই এই মামলার অন্তর্বর্তী শুনানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন আদালত জানিয়েছিল, সব পক্ষের মতামত শোনার পর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু এই বেঞ্চ মঙ্গলবার অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত ছিল। সেজন্য সময়ের অভাবে এই মামলার শুনানির দিন আরও কিছুটা পিছিয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ অগস্ট ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট চলাকালীন গত এপ্রিল মাসে একটি বড় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় আদালত। যার ফলে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকার হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত গত ৭ মে হাইকোর্টের সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।’

  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)