• বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়?
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • কিরণ মান্না: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বললেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠুক, এই তাঁর আন্তরিক কামনা! বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হলদিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন 'ঘুণপোকা'র লেখক। হলদিয়ায় এক অনুষ্ঠানে আজ উপস্থিত হয়েছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লেখক জানান, 'এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠুক এই কামনা করছি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। অশান্তির ফলে দুই দেশের  সংস্কৃতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।'

    প্রাক্তন বিধায়ক তথা সাহিত্যিক প্রয়াত তমালিকা পন্ডা শেঠের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠ, বুলা চৌধুরী, সাহিত্যিক শ্যামলকান্তি দাস প্রমুখ।

    এদিকে অশান্ত বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই। যে হেলিকপ্টারে চেপে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন শেখ হাসিনা সেই কপ্টারটি তাঁকে ছাড়াই বাংলাদেশে ফিরেছে। তবে, কোথায় তিনি আশ্রয় নেবেন, কোন দেশে তিনি যাবেন-- সেসবও খুব পরিষ্কার নয়। শুধু এটুকু জানা গিয়েছে, পাকাপাকি কোনও দেশে যাওয়ার আগে পর্যন্ত শেখ হাসিনা এ দেশেই থাকবেন। এবং ভারত সরকার এ বিষয়ে তাঁকে সহায়তা দেবে। বাংলাদেশ প্রশ্নে ও হাসিনা-ইস্যুতে ভারতে কী অবস্থান নেবে, তা আলোচনা করার জন্য এক সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিল ভারত সরকার। সেখানে রাহুল গান্ধী থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধি সকলেই ছিলেন। সকলেই এক বাক্যে ঠিক করেছেন, তাঁরা এ বিষয়ে ভারত সরকারের নির্দেশিত পথেই চলবে।

    কিন্তু এদিকে অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি নাগরিকেরা। যেমন বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত-- ঘোজাডাঙা সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্ট দেখিয়েই বাংলাদেশ থেকে এদেশে প্রবেশ করছেন বাংলাদেশের নাগরিকেরা। তবে, তাঁদের সকলের চোখে-মুখেই আতঙ্কের ছায়া। যেন, সদ্য যা ঘটে গিয়েছে তাঁদের দেশে, তার ঘোর এখনও কাটছে না তাঁদের।

    বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরেই ছাত্র আন্দোলন তুঙ্গে। এর জেরে সেদেশের পরিস্থিতি আগুনে হয়ে আছে। উত্তাল বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে যা নয়, তাই ঘটছে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আওয়ামি লিগের সঙ্গে সম্পর্কিত সব কিছুই। পুড়িয়ে মারা হচ্ছে আওয়ামি লিগের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ যাকে পাওয়া যাচ্ছে। ধ্বংস করা হচ্ছে আওয়ামি লিগের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, অফিস-কাছারি। কবে থামবে এই ধ্বংসলীলা? কবে ফিরবে শান্তি? এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)