অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। লোকসভা নির্বাচনে হারের পর্যালোচনা মিংটিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। গেরুয়া শিবিরের নেতারা নিজেদের মধ্যে কটুক্তি এমনকী চেয়ার ছোড়াছুড়িতে নেমে আসেন। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
সোমবার রাতে নোয়াপাড়ার ভীমের মোড় এলাকার একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে লোকসভা নির্বাচনে হার নিয়ে বৈঠকে বসেন বিজেপির নোয়াপাড়া ১ মণ্ডলের নেতারা। চেয়ার ছুড়ে মেরে হেনস্থার চেষ্টা হয় বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতিকে। যা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য এবং জেলা স্তরের পাশাপাশি মণ্ডলগুলিকে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে তেমনই নোয়াপাড়া মণ্ডল ১ নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। সেখানে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মণ্ডলের নেতৃত্ব-সহ বুথস্তরের নেতাকর্মীরা।
বৈঠক চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের একাংশ আচমকা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে নানা কটুক্তি গালিগালাজ শুরু করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়ার ছবিও সামনে আসে। বিশৃঙ্খলার এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচন নিয়ে মণ্ডলে মণ্ডলে আলোচনা চলছে। সাংগঠনিক স্তরে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে কেন আমাদের পরাজয় হয়েছে। গত দিনের আলোচনায় দলের অভ্যন্তরে মতপার্থক্য তৈরি হয়। হারার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়েই কেউ কেউ নিজেদের রাগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এটা হওয়া উচিত ছিল না। যাঁরা এই কাজ করছেন সাংগঠনিক ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এবিষয়ে গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পঙ্কজ দাস বলেন, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিজেপির ষ গোষ্ঠীদ্বন্ধের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।”