চায়ের দোকানে ডিম ভেজে খেয়ে, ক্রেতাদের পাউরুটি টোস্ট, ডিম টোস্ট বানিয়ে বিক্রি করে ২০ প্যাকেট সিগারেট, ১৫ প্যাকেট বিভিন্ন বিস্কুট, ডিম-সহ দোকানের সমস্ত সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় চোর। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের নেতাজি বাজারে চায়ের দোকানে। চোরের সমস্ত কীর্তি ধরা পড়েছে সামনের কম্পিউটার দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায়। আজব এই চুরির ঘটনায় হতবাক সকলেই। শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটির বাসিন্দা চা দোকান ব্যবসায়ী কৃষ্ণগোপাল দাস জানান, “বাপের জন্মে এমন চোর দেখিনি। আমার দোকানে এসে ২০ টা ডিম ভেজেছে। সকালে দোকানে এসে বিষয়টি জানতে পারি। নিজে খেয়েছে বিক্রিও করে ক্রেতাদের থেকে টাকা নিয়েছে৷ তার পর সব জিনিস নিয়ে পালিয়েছে। দু’বার চুরি হল আমার দোকানে৷ সর্বস্ব চলে গিয়েছে।”
চোরের দুঃসাহসিক কাণ্ডে একদিকে যেমন হাসির রোল উঠেছে। অন্যদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই এই মর্মে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন দোকান ব্যবসায়ী। চোর বাবাজির খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা যায়, চায়ের দোকানের মালিক কৃষ্ণগোপালের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার৷ বোলপুরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নেতাজি বাজারে একটি চায়ের দোকান চালিয়েই তাদের সংসার চলে। অপরদিকে মহকুমা শাসকের দপ্তর অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে ভূমি নিবন্ধন অফিস, অঙ্গনওয়াড়ি-সহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিস রয়েছে। এছাড়াও এই মার্কেটে প্রায় ৫০টি দোকান সচল রয়েছে।
পাউরুটি ডিম টোস্ট খেতে আসা ডাম্পার চালক আপেল শেখ বলেন, “কর্মজীবনে কোনওদিন এমন কাণ্ড আমার সঙ্গে হয়নি৷ চোরের হাতে পাউরুটি ডিম-টোস্ট খেলাম৷ দোকান খোলা দেখে গিয়েছিলাম৷ বলল কাকার দোকান, আমি ভোরে থাকি। ডিমটোস্টের দাম ২২ টাকা। আমার থেকে ৩০ টাকা নিল৷ সকালে চা খেতে গিয়ে শুনি ওটা চোর ছিল, দোকানের সব নিয়ে পালিয়েছে।” ডাম্পারচালক দোকান থেকে ৮ টাকা ফের নিতে এলেই চোরের কীর্তি প্রকাশ্যে আসে৷ স্থানীয় একটি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে দীর্ঘক্ষণ দোকান খুলে বিক্রেতা চোর ডিম ভাজছে। আজব চুরির ঘটনায় হইচই পড়েছে বোলপুর জুড়েই।