সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: লালবাঁধ উপচে চৌকান এলাকায় প্রায় ৫০বিঘা ধানের জমি জলের তলায়। আর এনিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, লকগেট উঁচু করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে জল উপচে চাষের জমি ডুবিয়ে দিয়েছে। তাঁরা লকগেট নিচু করার দাবিতে সরব হন। অভিযোগ পেয়ে এদিন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী ও স্থানীয় কাউন্সিলার এলাকা পরিদর্শন করেন। যদিও লকগেটে থাকা নেটে আবর্জনা আটকে যাওয়ার কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান বলেন, লালবাঁধে ইজারা নেওয়া ব্যক্তিকে এদিনই লকগেটের নেটে আটকে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা হলেই জল তার নিজের গতিতে বেরিয়ে যাবে। চাষের জমি থেকেও জল নেমে যাবে।
এদিন লালবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাঁধ কানায় কানায় পূর্ণ জলে। চৌকান এলাকার দিক থেকে আসা নালাও জলে ভর্তি। সেই সঙ্গে ওই এলাকার চাষের জমিও জলের তলায় রয়েছে। সেখানেই দাঁড়িয়ে চাষিরা হা হুতাশ করছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। তাঁদের মধ্যে দক্ষিণ মগরা গ্রামের বাসিন্দা নাড়ু লোহার বলেন, বাঁধের গায়ে আমাদের ছ’বিঘা জমি রয়েছে। আগে বৃষ্টি হলেও জল লালবাঁধের আউটলেট দিয়ে অনায়াসে বেরিয়ে যেত। কোনও সমস্যা হতো না। কিন্তু, গত বছর থেকেই মাছ চাষের জন্য বাঁধের লকগেট প্রায় তিন ফুট উঁচু করা হয়েছে। তার উপর আবার ঘন নেট দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। আর তাতেই আমাদের সর্বনাশ হয়েছে। পরিস্থিতি যা তাতে যেদিক দিয়ে জল বাঁধে প্রবেশ করার কথা, জল উপচে সেই দিকেই বইছে। ওই জল চাষের জমি ডুবিয়ে দিয়েছে। গত বছরই আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবারও একই অবস্থা হয়েছে। অবিলম্বে লক গেটের উচ্চতা আগের অবস্থায় ফেরানোর দাবি জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ মগরা গ্রামের অপর এক বাসিন্দা বিমল লোহার বলেন, লালবাঁধ লাগোয়া জমিতে আমরা বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে চাষ করছি। আগে কখনও সমস্যা হয়নি। গত বছর থেকে মাছ চাষের জন্য লালবাঁধ ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদাররাই লক গেটের উচ্চতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতেই আমাদের জমি জলে ডুবে গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র