• গঙ্গাগর্ভে যাচ্ছে মহিশুরা পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার একাংশ ও কৃষিজমি
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ ব্লকের মহিশুরা পঞ্চায়েতে এখনও নদী ভাঙন অব্যাহত। যদিও ভাগীরথীর জল তেমন বাড়েনি। তবে জল বাড়লে নদীর গ্রাসে চলে যেতে পারে মহিশুরা পঞ্চায়েতের রাজীবনগর থেকে মালিতা পাড়া গঙ্গার ঘাট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বেশকিছু অংশ এবং বহু চাষের জমি। এমনটাই দাবি নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই আতঙ্কিত নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

    নবদ্বীপ ব্লকের মহিশুরা পঞ্চায়েতের মহিশুরা রাজীবনগর থেকে মালিতা পাড়া গঙ্গার ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘদিনের পুরনো এই পিচ রাস্তাটি। প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা। এক বছর আগে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তাশ্রী প্রকল্পে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে মালিতা পাড়া, মাঝের চড়া, চৌধুরী পাড়া, মহিশুরার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই সব গ্রামের বাসিন্দারা কেউ কালীনগর স্টেশন, কেউ সমুদ্রগড়, কেউ বা নবদ্বীপে যাতায়াত করেন। রাস্তাটির কাছাকাছি বেশ কিছু এলাকায় চলছে ভাগীরথীর ভাঙন। রাজীব নগরের বাসিন্দা শেফালী মাহাত বলেন, ভাগীরথী ভাঙতে ভাঙতে রাস্তার কাছে চলে এসেছে। এরপর যদি ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করা হয়। তবে রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ভাঙনের গ্রাসে চলে  যাবে। কিন্তু সরকারি ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিচ্ছে কোথায়।

    মহিশুরার বাসিন্দা আনসুর শেখ বলেন, এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের কাছে ঘোষপাড়ার থেকে গদখালি পর্যন্ত রাস্তাটি চলে গিয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে ঘোষপাড়া, জাহ্নবী পাড়া, রাজীবনগর, খড়ের মাঠ, মহিশুরা, গদখালির প্রচুর মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এবার নদী ভাঙতে ভাঙতে এই রাস্তার কাছে চলে এসেছে। অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মহিশুরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আকমল সরদার বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে মহিশুরা চৌমাথা থেকে একবার পিএমজিএসওয়াই প্রকল্পে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পিচ রাস্তার কাজ হয়েছিল। পরবর্তীতে এই রাস্তাটা খারাপ হয়ে গেলে এক বছর আগে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তাশ্রী প্রকল্পে রাস্তাটি সংস্কার করা হয় রাজীবনগর থেকে  মালিতাপাড়া ঘাট পর্যন্ত। এই রাস্তাটি একসময়ে মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাস্তা ছিল। বারবার প্রশাসনকে  জানিযেও ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কয়েক বছর আগে কিছু বালির বস্তা ফেলে দায়সারা কাজ হয়েছিল। এবার যা পরিস্থিতি তাতে জল বাড়লেই ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে। তখন রাস্তাটি এবং চাষের জমির বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)