• খানাকুলে ত্রাণ নিয়ে বিডিও অফিসে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: নিম্নচাপ ও ডিভিসির ছাড়া জলে খানাকুল এবং পুরশুড়া ব্লকের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নদী ও খাল তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই খানাকুলে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার খানাকুল-১ বিডিও অফিসে ত্রাণ চেয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। পরে বিডিওর সঙ্গে দেখা করেন। তবে বিডিও অফিস থেকে বেরনোর সময় বিধায়ককে লক্ষ্য করেও জয় বাংলা স্লোগান চলতে থাকে। তার জেরে সেখানে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে সেখানে আগে থেকেই পুলিস মোতায়েন ছিল। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিলিতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এদিন আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিলি করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। 

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক বলেন, খানাকুল-১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অথচ দুর্গত বাসিন্দারা ত্রাণ পাচ্ছেন না। এমনকী, বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা ত্রাণ চাইতে গেলে দেওয়া হচ্ছে না। ব্লক প্রশাসনকে তা জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই এদিন সদস্যদের নিয়ে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাই। তাঁকে লক্ষ্য করে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের কয়েকজন সমর্থক জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন। আদতে তাঁদের চোখে জয় বাংলা হয়েছে। তাই বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগ তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না। এসবকে আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না। 

    তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় বলেন, আমরা চাই সবাইকে ত্রাণ দিতে। সেইজন্য প্রশাসন অবশ্যই প্রকৃত দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেবে। খানাকুলের বিধায়ক তালিকা দিলে প্রশাসন তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বিধায়ক ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। তাই এদিন সেখানে নাটক করতে যান। 

    বিডিও শুভজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ত্রাণ সামগ্রী পঞ্চায়েত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। বিধায়কের দাবিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পুরশুড়া, আরামবাগ ও গোঘাটে প্লাবিত এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করেন মন্ত্রী, সাংসদ ও প্রশাসনের কর্তারা। হরাদিত্য এলাকায় একটি ত্রাণশিবিরে এসে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, রাজ্য সরকার দুর্গতদের পাশে রয়েছে। এরজন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের সতর্কতা মেনে পরিস্থিতি অনুযায়ী দুর্গতরা যেন ঘর ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আসেন। 

    আরামবাগের মহকুমা শাসক সুবাষিনী ই বলেন, আগের চেয়ে দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলস্তর কিছুটা কমেছে। ডিভিসিও জল ছাড়া কমিয়েছে। যেসব এলাকায় জল দাঁড়িয়েছে তা ধীরে ধীরে নেমে যাবে আশা করা যায়। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)