• গলসির সেতুতে ওঠার মুখে ধস, বর্ধমান থেকে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তি
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: টানা বৃষ্টিতে গলসির সোদপুর থেকে লোয়াপুর যাওয়ার রাস্তার উপর সেতু বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তার সঙ্গে কুকুই নদীর জল বাড়ায় ধস নেমেছে ওই সেতুর গা ঘেঁষে দুই পাশের রাস্তায়। ফলে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা। লোয়াপুর কৃষ্ণরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মিরাজ মল্লিক বলেন, সেতুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। বিডিও সহ জেলাস্তরেও বিষয়টি জানিয়েছি। ঠিক করার আশ্বাস মিলেছে। 

    জানা গিয়েছে, কসবা, সোদপুর, কেন্দুরটিকুরি, অমরপুর, লোয়াপুর, নবখণ্ড সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের বাসিন্দারা এই সেতুটি ব্যবহার করেন। চাষিরাও মাঠ থেকে ফসল তুলে আনা, বিক্রির জন্য ট্রাক্টরে চাপিয়ে এই সেতুর উপর দিয়েই বাজারে নিয়ে যান। সেতু দিয়ে চলে বাস, টোটো। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, সেতুর দু’দিকেই ধস নেমেছে। লম্বা ফাটল ধরেছে সেতুর গার্ডওয়ালেও। সেতুটি ভালোভাবে তৈরি করা হয়নি। সেতুটি আরও চওড়া করার দরকার ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন দত্ত বলেন, বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার জন্য সেতুর এই অবস্থা হয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি চারচাকা গাড়ি নিয়ে পেরনো যাচ্ছে না। বাইক নিয়ে পার হতেও ভয় লাগছে। রাস্তাটি কসবা থেকে সোজা গেলে রায়পুরের ব্রিজ এবং ডানদিকে গেলে রামগোপালপুরে যাওয়া যায়। রামগোপালপুর থেকে দুর্গাপুর সহজে যাওয়ার রাস্তা এটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তায় কেন্দুরটিকুরি থেকে বর্ধমান যাওয়ার তিনটি বাস চলে। কিন্তু সেতু বেহাল হওয়ার জন্য বাস চলাচল করছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে। পাশের বড় সেতুটি খারাপ হওয়ায় এই সেতু দিয়েই এখন পারাপার করা যায়। কিন্তু বন্যায় এই সেতুটিরও হাল খারাপ হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, সেতুটির গার্ডওয়াল একটি দিকে হেলে গিয়েছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সাংসদ তহবিল থেকে এই সেতু হয়েছিল। সেইসময় আমরা বলেছিলাম জলের চাপের তুলনায় সেতুটি ছোট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোর্ড বসানো দরকার। না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। অমরপুরের বাসিন্দা হরেন দাস বলেন, সেতুর দু’দিকের মানুষজনের সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে সেতু মেরামতি না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। 

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুর দু’দিক ধসে যাওয়ায় চারচাকা গাড়ি শুধু নয় টোটোও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। বিষয়টি নিয়ে গলসি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জেলাস্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। পরিদর্শনও হয়েছে। দ্রুত  কাজ করার চেষ্টা চলছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)