• বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি ফসলের, সব্জির দাম বৃদ্ধির শঙ্কা, সক্রিয় অসাধু চক্র
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া ও আরামবাগ: নিম্নচাপের জেরে টানা বর্ষণে বাঁকুড়া ও আরামবাগে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব্জি চাষে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ফলে বাজারে ফের সব্জির দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। ইতিমধ্যেই পেপে, শসা, ঢ্যাঁড়স সহ অন্যান্য সব্জির দাম বাড়তে শুরু করেছে। শাকও ক্রমে মহার্ঘ্য হয়ে উঠছে।

    বাঁকুড়ার এক কৃষি আধিকারিক বলেন, উঁচু এলাকার আমন জমির জন্য এই বৃষ্টি সহায়ক হবে। সেখানে চাষে গতি আসবে। তবে জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমা সহ অন্যান্য নিচু এলাকায় সব্জি খেতে জল জমে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তারফলে বাজারে সব্জির জোগান কিছুটা কমতে পারে। সেই কারণে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কেউ যাতে এই অজুহাতে অযথা চড়া দামে সব্জি বিক্রি করতে না পারেন, তা প্রশাসনের দেখা উচিত। 

    মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের বাজারগুলিতে প্রতি কিলোগ্রাম শসা ৮০ টাকা, ঝিঙে, বাঁধাকপি ও ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, বেগুন ও করলা ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। ছোট আকারের কলমি, নটে শাকের আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা। তবে আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজের দাম অবশ্য বাড়েনি।

    নিম্নচাপের বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমাতেও সব্জি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। মহকুমার আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল ও পুরশুড়া সর্বত্রই চলতি মরশুমে সব্জির চাষ হয়েছে। পুরশুড়া ব্লকে সব্জির চাষ বেশি হয়। বর্তমানে ডিভিসির ছাড়া জলে পুরশুড়ায় বেশকিছু জমির সব্জি প্লাবিত হয়েছে। মহকুমা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরশুড়ায় প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে সব্জির চাষ হয়েছে। সেখানে খরিফ মরশুমের পটল, কুমড়ো, কাঁচা লঙ্কা, কচু সহ বিভিন্ন সব্জির চাষ হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমির সব্জি প্লাবিত হয়ে রয়েছে। খানাকুলেও কিছু নিচু এলাকার জমিতে হওয়া সব্জির জমি জলে ডুবে গিয়েছে। উদ্যান পালন দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পারমিতা রায় বলেন, পুরশুড়ায় কিছু জমি প্লাবিত হয়ে রয়েছে। জল নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। উল্লেখ্য, এমনিতেই বাজারে বিভিন্ন সব্জির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে সব্জি চাষে ক্ষতি হলে দাম আরও বাড়তে পারে। সমস্যায় পড়তে পারেন গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তবে সব্জি চাষে ক্ষতি হলে চাষিদের দ্রুত ফলনশীল বীজ বিলির ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)