• বেহাল দশা পুরুলিয়ার ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের, ঘটতে পারে বিপদ
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের অবস্থা বেহাল। জেলাশাসকের দপ্তর সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর রয়েছে সেখানে। সেখানেই এই হাল। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সরকারি আধিকারিক থেকে কর্মীরা। যে কোনও মুহূর্তেই ঘটতে পারে অনর্থ। কিন্তু হুঁশ নেই প্রশাসনের। 

    কালেক্টরেট চত্বরে থাকা ট্রেজারি বিল্ডিংয়েই রয়েছে দুই অতিরিক্ত জেলাশাসকের (জেনারেল এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার) দপ্তর। ভূমিদপ্তরের যাবতীয় কাজকর্ম হয় এই দপ্তরেই। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগ, শিশু সুরক্ষা দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব দপ্তর রয়েছে এই বিল্ডিংয়েই। সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে কয়েকশো কর্মী কাজ করেন। 

    প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে কয়েকশো মানুষের যাতায়াত লেগেই রয়েছে। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের দেওয়ালের রং চটে গিয়েছে। পলেস্তার খসে পড়ছে। শ্যাওলা ধরেছে। দেওয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ফাটল দিয়ে উঁকি মারতে শুরু করেছে গাছপালা। জলের পাইপলাইন বেয়ে উপরে উঠছে লতা, গুল্ম। জানালার বাইরের অংশে বাসা বেঁধেছে মৌমাছির দল। 

    ভবনের ভিতরের অবস্থা আরও খারাপ। বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে চাঙর খসে পড়েছে। ঢালাইয়ের রড বেরিয়ে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তেই বিপদ ঘটতে পারে। মঙ্গলবারই ভূমিদপ্তরের কাজে কালেক্টরেটে এসেছিলেন বলরামপুরের বাসিন্দা তপন মাহাত। তিনি বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের এই ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে আসতে হয়। যে কোনও মুহূর্তে যে সেই চাঙর আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মাথার উপর ভেঙে পড়বে না, তার তো কোনও নিশ্চয়তা নেই। যতক্ষণ না বড়সড় বিপদ হচ্ছে, ততক্ষণ মনে হয় আধিকারিকরা পদক্ষেপ করবে না। ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের শৌচালয়গুলির অবস্থাও তথৈবচ। বহু জানলা দরজা নষ্ট হতে বসেছে। ছাদে ডাঁই হয়ে ময়লার স্তূপ জমে রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের। 

    ট্রেজারি বিল্ডিং ছাড়াও জেলাশাসকের দপ্তরের চত্বরও অপরিস্কার অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চারিদিক পাখির বিষ্ঠায় সাদা হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। ঝোপঝাড়ে ঢেকেছে কালেক্টরেটের বিভিন্ন এলাকা। এই অব্যবস্থা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

     বিভিন্ন আধিকারিককে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও কেউই কিছু মন্তব্য করতে চাননি। ওই ভবনের কর্মরত এক সরকারি কর্মী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বহুবার সরব হয়েছি। কিন্তু জেলা প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই বিল্ডিংয়ের এই অবস্থা।
  • Link to this news (বর্তমান)