• সুন্দরবনের জল সীমানায় নজরদারি, ফ্রেজারগঞ্জে আধুনিক হোভারক্রাফ্ট
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বাংলাদেশে চলতে থাকা অস্থির পরিস্থিতির কারণে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সুন্দরবনের আন্তর্জাতিক (ভারত-বাংলাদেশ) জল সীমানায়। ইতিমধ্যে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলরক্ষী বাহিনীর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে অত্যাধুনিক হোভারক্রাফট। জানা গিয়েছে, অতীতে হলদিয়া উপকূলরক্ষী বাহিনীর দপ্তর থেকে হোভারক্রাফট ফ্রেজারগঞ্জে পাঠানো হতো। তার মাধ্যমে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি চালাত ফ্রেজারগঞ্জের দায়িত্বে থাকা উপকূলরক্ষী বাহিনী। কিন্তু মঙ্গলবার বকখালি সমুদ্র সৈকতে পৃথক একটি হোভারক্রাফট এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ থেকে যে জলযানগুলি ভারতবর্ষের সীমানায় প্রবেশ করছে, উপকূলরক্ষী বাহিনী তাদের নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি সুন্দরবন ও বারুইপুর পুলিস জেলার পক্ষ থেকেও উপকূলীয় অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সুন্দরবন উপকূল থানা এলাকায় দু’টি স্পিডবোট ও একটি লঞ্চে শুরু হয়েছে টহলদারি। যেহেতু এখন মাছ ধরার মরশুম চলছে, সেই সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে এপারে চলে আসতে না পারে, তার জন্য লাগাতার নজরদারি চালানো হচ্ছে। নৌকাগুলি পরীক্ষা করছেন পুলিসকর্মীরা। সুন্দরবন পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, স্থলভাগ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পুলিস বাহিনী টহলদারি চালাচ্ছে। এই দূরত্বের মধ্যে থাকা প্রতিটি জলযানের কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সময় মৎস্যজীবীরা নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরছেন। মৎস্যজীবীদের সঙ্গেও কথা বলছেন আধিকারিকরা। তাঁদেরও বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে। তবে এই ১২ নটিক্যাল মাইলের বাইরে উপকূলরক্ষী বাহিনী নজরদারি চালাচ্ছে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকেও সুন্দরবন এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেছেন, ‘মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় জল সীমানায় অচেনা ট্রলার ও জলযান দেখলেই পুলিস প্রশাসন ও সংগঠনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)