• জওয়ানদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিএসএফ ডিজি’র
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পেট্রাপোল সীমান্ত: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। চলেছে মৃত্যু মিছিল। কিন্তু, কোনও অবস্থাতেই যাতে ভারতের ভূখণ্ডে কোনও প্রভাব না পড়ে, তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার পেট্রাপোল সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী। বাংলাদেশ ইস্যুতে তিনি সীমান্তে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন। বিএসএফ সূত্রের খবর, যেকোনও পরিস্থিতির জন্য বিএসএফ জওয়ানদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে সোমবারই বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের দপ্তরে বৈঠক করেন ডিজি। তার আগে তিনি সুন্দরবন অঞ্চলে জলসীমান্ত পরিদর্শন করেন। এদিন দ্বিতীয় আসেন তিনি পেট্রাপোলে। সীমান্ত ঘুরে দেখার পরই তিনি জরুরি বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গ পাঁচ রাজ্যের সীমান্তে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার নদীয়া জেলার একটি সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। রাত ৯টা পর দোকান বন্ধ করা, রাতের বেলায় সীমান্তের রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

    সোমবার বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে আওয়ামি লিগের একাধিক পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলায় হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের পোস্টারও। সূত্রের খবর, ওইদিন তাণ্ডবকারীরা বেনাপোল সীমান্তে গেটের দিকেও এগিয়ে আসতে থাকে। সেইসময় বাংলাদেশের বিজিবি, শুল্ক ও অভিবাসন দপ্তরের কর্মীরা জিরো পয়েন্টে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে চলে আসেন। কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের শেল্টার দেন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা আবার নিজেদের দেশে ফিরে যান। বেনাপোল সীমান্তের গেটে টাইলস দিয়ে বাঁধানো বঙ্গবন্ধুর ছবিও আছে। সেটি অবশ্য অক্ষত রয়েছে।

    বাংলাদেশ থেকে প্রায়ই ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশ না ঘটে, তার জন্যও প্রতিটি সীমান্তকে সতর্ক করা হয়েছে। পাচারকারীরা যাতে এই সুযোগে চোরাচালান না করে, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিএসএফের দাবি, জওয়ানরা ২৪ ঘণ্টাই সতর্ক রয়েছেন। ভারতের দিকে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাই জারি রয়েছে সীমান্তের সর্বত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)