• বাংলাদেশি জঙ্গি অনুপ্রবেশের শঙ্কায় ভীত অরক্ষিত সীমান্ত গ্রাম আংরাইল
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: গত কয়েকদিনের অচলাবস্থায় অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। সোমবার সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতেই দেশজুড়ে লুটতরাজ শুরু হয়। আওয়ামি লিগের একাধিক অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই ঘটনায় সতর্ক ভারত। দেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বাসিন্দাদের মধ্যে একটা চাপা উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের আতঙ্কের মাঝে সন্ত্রাসবাদীদের আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। সোমবার থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়েছে বিএসএফের টহল। বনগাঁ মহকুমায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বাংলাদেশ সীমান্ত। সীমান্তের অনেক জায়গায় এখনও নেই কাঁটাতারের বেড়া।  বনগাঁর গাইঘাটা ব্লকের সীমান্তবর্তী গ্রাম আংরাইল। ওপারে বাংলাদেশের পুটখালি গ্রাম। এই গ্রামের অনেকাংশে এখনও কোনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী নদী। নদীর ওপারে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। নদী পলি জমে মৃতপ্রায়। জল স্তর কমেছে। ফলে অনায়াসেই যাতায়াত করা যায়। এই পথই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই সীমান্তের এই গ্রামের পথ বেয়ে চলে চোরাচালান। বিএসএফের নজর এড়িয়ে অনায়াসেই ঘটে বেআইনি অনুপ্রবেশ। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন এলাকার অনেকেই।

    আংরাইল সীমান্তের এক বাসিন্দা জানান, বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ। মাঝে নদী। নেই কাঁটাতারের বেড়া। বিস্তীর্ণ ফাঁকা পথে যেকোনও সময় বাংলাদেশিরা এদেশে আসতে পারে। রাতের অন্ধকারে এদেশে আস্তানা গেড়ে বসতে পারে জঙ্গিরা। আমাদের আতঙ্কে দিন কাটে। তবে বিএসএফের প্রহরা বৃদ্ধিতে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি। তবুও ভয় কাটছে না। বাসিন্দাদের মতে, রাত হলেই আতঙ্ক বাড়ে। অতীতে একাধিকবার এই সীমান্তে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে বিএসএফ আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি জঙ্গিদের কাছে ভারতে অনুপ্রবেশের বড় সুযোগ করে দিয়েছে। 

    অপর এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে বাংলাদেশ বড়জোর দেড়শো মিটার হবে। এখনও পর্যন্ত কাঁটাতার বসেনি এই এলাকায়। ফলে এই পথ পেরিয়ে যেকোনও সময় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এদেশে চলে আসতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএসএফের টহল বাড়লেও আমাদের আতঙ্ক কিন্তু থেকেই যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)