• জুন-জুলাই মাসে বৃষ্টিতে উত্তরকে টেক্কা দিল দক্ষিণ
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি বছর গ্রীষ্মে গরমে পুড়েছিল শহর। রীতিমতো তাপপ্রবাহ চলে ক’দিন ধরে। আর এবার বর্ষার মরশুমে দেখা গেল, রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে তিলোত্তমায়। টালা থেকে টালিগঞ্জ—শহরের সব অংশেই জুন-জুলাই মাসে ভালো পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি বছর জুন থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত কলকাতার দক্ষিণ তল্লাটে বৃষ্টির পরিমাণ উত্তরের তুলনায় প্রায় ৬০০ মিমি (মিলিমিটার) বেশি। 

    কলকাতা পুরসভার অধীনে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৮টি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। তার মধ্যে চারটি পাম্পিং স্টেশনের উপরেই শহরের অধিকাংশ এলাকার জল নিষ্কাশন নির্ভর করে। সবথেকে বড় বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন পার্ক সার্কাস, বেকবাগান, গোলপার্ক, বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, সার্দান অ্যাভিনিউ, এক্সাইড, পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, হাজরা, বন্ডেল গেট সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার জল টানে। গত বছর বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশনের আওতাধীন এলাকায় জুন-জুলাইয়ে ৭৮০ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। সেই জায়গায় এবার এই সময়কালে ১৪৭১ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ১ আগস্টের হিসেব ধরলে সেটা ১৫০০ মিমি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণের বেশি বৃষ্টি হয়েছে শহরের এই অংশে। শিয়ালদহ, মৌলালি, ধর্মতলা, এন্টালি, বউবাজার, বড়বাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার জল টানে পামারবাজার পাম্পিং স্টেশন। গত বছর জুলাই পর্যন্ত এই পাম্পিং স্টেশনের আওতাধীন এলাকায় ৬২৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। চলতি বছরে হয়েছে প্রায় ৯০০ মিমি (৮৮২.২০)। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, জুন-জুলাইয়ের বৃষ্টিতে কলকাতা দক্ষিণ টেক্কা দিয়েছে উত্তরকে। এছাড়া, পুরসভার ধাপা পাম্পিং স্টেশন এলাকায় গতবারের তুলনায় প্রায় ২০০ মিমি বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই স্টেশনের আওতায় মূলত মধ্য ও পূর্ব কলকাতার কিছু অংশ রয়েছে। পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতায় বছরে গড়ে ১৫০০-১৬০০ মিমি বৃষ্টি হওয়ার কথা। সেখানে এখনই শহরে বৃষ্টিপাতের হার ১০০০-১১০০ মিমি হয়ে গিয়েছে। পুজো পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে থাকলে এবার কলকাতায় বৃষ্টিপাত গড় হারকে ছাপিয়ে যাবে। পুরসভার নিকাশি বিভাগের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘মূলত বর্ষার মরশুমের তথ্য ধরলেও এই হিসেবের মধ্যে এপ্রিল বা মে মাসে কালবৈশাখীর বৃষ্টিও ধরা হয়। অন্যান্য বছরের মতো এবার কালবৈশাখী তেমন হয়নি।  জুনেও ভালো বৃষ্টি হয়নি। জুলাইয়ের শেষের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা বাড়ে। তাই সার্বিকভাবে গতবারের থেকে বেশি বৃষ্টি পেয়েছে শহর।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)