• হকার সমীক্ষায় যেতে অনীহা, ৫০ কর্মীকে শোকজ পুরসভার
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কারও টানা জ্বর, কারও পেট খারাপ। কেউ আবার পায়ের ব্যথায় কাতর। অনুপস্থিতির নানা ‘অজুহাত’। কলকাতা পুরসভার হকার সমীক্ষার কাজ না করার জন্য পুরকর্মীদের একাংষ এমন নানা ‘বাহানা’র আশ্রয় নিচ্ছেন। কেন তাঁরা হকার সার্ভেতে নামছেন না, কারণ জানতে ৫০ জন কর্মীকে শোকজ লেটার ধরিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। জবাবে এমনই নানা কারণ তুলে ধরেছেন সেই কর্মীরা। সম্প্রতি বেহালায় হকার সমীক্ষায় গিয়ে এক পুরকর্মীকে মার খেতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুরসভা ও পুলিস সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপও করে। তাছাড়া, হকার সমীক্ষায় মাঝেমধ্যেই পুরকর্মীদের সঙ্গে হকারদের বচসা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব ‘উটকো ঝামেলা’ এড়াতেই কি পুরকর্মীদের একাংশ হকার সার্ভেতে অংশ নিতে চাইছেন না? উঠছে সেই প্রশ্নও। 

    হকার সমীক্ষা চলছে শহরজুড়ে। তার জন্য পুরসভার সচিবালয়ের তরফে সমস্ত বিভাগের কাছে কর্মীদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়, ১৬টি বরোর জন্য ১১২টি টিম কাজ করবে। প্রত্যেকটি টিমে ছ’জন করে কর্মী থাকবেন। সব মিলিয়ে ৬৭২ জন কর্মী চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুর-বিভাগগুলির তরফে ৫৬০ জনের তালিকা সচিবালয়ে জমা পড়ে। সেই তালিকারই ৫০ জন কাজে যোগ দেননি। তাঁরা কেউ সমীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পর্যন্ত আসেননি বলে খবর। সম্প্রতি সেই ৫০ জনকে একলপ্তে শোকজ লেটার ধরানো হয়। তাতেই একের পর এক এই ধরনের জবাব আসতে শুরু করে। 

    বেহালার সাম্প্রতিক ঘটনার পর সার্ভেতে যাওয়া পুরকর্মীদের আই কার্ড সঙ্গে নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, তারপরও কর্মীদের মধ্যে ভীতি কাটছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এক পুরকর্তা বলেন, ‘সমীক্ষায় বেরিয়ে ছোটখাটো বচসা অবশ্যই হচ্ছে। কিন্তু সার্বিকভাবে হকাররা সহযোগিতাই করছেন। যাঁরা শোকজ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে সত্যিই অসুস্থ। সেই প্রমাণও রয়েছে। কেউ কেউ স্রেফ অজুহাতও দিচ্ছেন। তাছাড়া, এমন বিভাগও রয়েছে, যেখান থেকে ওই কর্মী সাময়িকভাবে চলে গেলেও অন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে আরও ৩০ কর্মীকে সমীক্ষকদের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ময়দানে নামানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)