• মোবাইল-টিভিতেই আটকে সীমান্ত গ্রাম, ঘোজাডাঙায় বাড়ছে বিএসএফের বুটের আওয়াজ
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা, ঘোজাডাঙা: বাংলাদেশ উত্তপ্ত হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে বিএসএফের বুটের আওয়াজ বেড়েছে। রাত বাড়লে আওয়াজ আরও বাড়ছে। আগে ঘোজাডাঙা সীমান্তে মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশী বাংলাদেশি মানুষের সঙ্গে কথা হতো এপারের মানুষের। খোঁজখবর নিতেন কে, কেমন আছেন। কিন্তু বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের নজরদারি বেড়েছে। আমূল পরিবর্তন এসেছে আগের দৈনন্দিন চেহারায়। এজন্য অন্ধকার নেমে এলেই আতঙ্ক ভর করছে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে। 

    এ বিষয়ে ঘোজাডাঙার উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সুবীর মণ্ডল বলেন, আগে এ দৃশ্য একদম অচেনা। সারি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিএসএফ জাওয়ানরা। কখন যে কী হয়, বলতে পারি না! আগে জমিতে চাষ করতে গেলে ওপারে বাংলাদেশি ভাইদের সঙ্গে কত কথা হতো, এখন তা আর সম্ভব নয়। কারণ জারি রয়েছে দু’পারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারি। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে! এই সীমান্ত এলাকায় অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও অশান্তি ঘটনা ঘটেনি।

    এদিকে, পাশের দেশ জ্বলছে, আক্রান্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মানুষ। আর সেই অসহায় অবস্থা দেখে মর্মাহত ভারতের নাগরিক। সর্বত্রই এখন আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বিভিন্ন এলাকার মতো সীমান্তের মানুষরা কাজের ফাঁকে মোবাইলের দিকে নজর রেখেছেন। মাঝেমধ্যেই সীমান্তের ওদিকের দিকে তাকিয়ে দেখছে কেউ এসে উঁকি মেরে ডাকছে কি না। তবে বিএসএফের কড়া নজরদারি তারই মধ্যে চলছে। ভারতের সীমান্তবর্তী ঘোজাডাঙার উত্তরপাড়ার মানুষের নজর সবসময় টিভি, মোবাইল ও সীমান্তে। এরই মধ্যে পানিতর গ্রামের বাসিন্দা অশোক পাল বলেন, আমার বয়স ৬৪ বছর। ১৯৭১ সালে এরকমভাবেই দেখেছিলাম বাংলাদেশের ভয়াবহ দৃশ্য। আর এবার মোবাইল টিভিতে সেসব দেখছি। জানি না, পড়শি দেশ কবে স্বাভাবিক হবে কিংবা আদৌ আর তা হবে কি না। সীমান্ত বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও টিভি এবং মোবাইলে যে দৃশ্য দেখছি, কত মানুষ যে জীবন হারাচ্ছে, তা দেখে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক বাংলাদেশ।
  • Link to this news (বর্তমান)