বিজেপি সহ সভাপতিকে হেনস্থার অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের
এই সময় | ০৭ আগস্ট ২০২৪
বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ। একটি ভিডিয়োতে (যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) হুগলির বিজেপি সহ সভাপতিকে মারধর করতে দেখা যায় দলেরই কর্মীদের। ঘটনায় দুই বিজেপি কর্মীকে বহিষ্কৃত করল গেরুয়া শিবির।সম্প্রতি, একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায় হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সহ সভাপতি গোপাল উপাধ্যায়কে হুগলি জেলা বিজেপি কার্যালয়ের ভেতরে হেনস্থা করা হচ্ছে। গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌঁছয়। দলের মধ্যেই তৈরি হয় বিতর্ক।
দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দুই কর্মী শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভজিৎ মল্লিককে বহিষ্কার করা হল। হুগলি বিজেপি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার দু’জনকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে চুঁচুড়া পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখানে শাশ্বতর সঙ্গে এক বিজেপি কর্মীর বচসা হয়। তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়।
গত ৫ অগস্ট সন্ধ্যায় বিজেপি কার্যালয়ে ভিতরে সেই বিষয় নিয়েই সহ-সভাপতি উপাধ্যায়ের সঙ্গে তর্ক শুরু হয় ওই বিজেপি কর্মীর। তখনই দুই কর্মী সহ-সভাপতি থেকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। লোকসভা ভোটের আগে শাশ্বতকে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার দল থেকেই বহিষ্কার করা হল তাঁদের।
যদিও, হুগলিতে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে একাধিকবার। লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হুগলির পাণ্ডুয়ায় একটি সভায় যান। সেখানেই প্রকাশ্যে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কর্মীদের একাংশ। কর্মীদের অভিযোগ ছিল, মণ্ডল সভাপতিরা ঠিক মত কাজ করেন না। লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁরা মিলে রয়েছে। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। হুগলি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওদের দলটাই দু’দিন বাদে থাকবে না। বিভিন্ন জায়গায় ওদের দলের লোকেরাই বিক্ষোভ করছে। কেউ ওদের দলে থাকতে চাইছে না। অফিসে গিয়ে হামলা করছে। নেতাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।’