বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ, প্রয়াত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মানস বসু
এই সময় | ০৭ আগস্ট ২০২৪
রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীর পচাগলা দেহ উদ্ধার। মৃত সঙ্গীত শিল্পী মানস বসু। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বর্ধমানে। নিজের ফ্ল্যাট থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, তদন্তে নেমেছে পুলিশ।রবিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের ছোটনীলপুর এলাকার বৃন্দাবন গার্ডেন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই ফ্ল্যাটের কাছ থেকে পচা দুর্গন্ধ আসছিল। কোনও প্রাণী মারা গিয়েছে বলে প্রথমে ধারণা করেছিলেন স্থানীয় লোকজন। গন্ধের তীব্রতা বাড়তে থাকায় ওই আবাসনের সিকিউরিটি গার্ড সন্দেহ করতে থাকেন। এরপরেই, বোঝা যায় শিল্পীর ফ্ল্যাট থেকেই ওই দুর্গন্ধ আসছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে ওঁর দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মানস বসু। গত শুক্রবার শেষ তাঁর সঙ্গে কথা হয় স্থানীয়দের। পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে মানস বসুর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ওই আবাসনের এক বাসিন্দা জানান, শিল্পী মানস বসু রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর পিএইচডি করেছিলেন। প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী মাঝেমধ্যেই তাঁর কাছে আসতো। কিছুদিন আগেই বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে তাঁকে বিশেষ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছিল। বাসিন্দার কথায়, ‘আমরা জানতাম, উনি ক্রনিক অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন। সেইজন্য ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতেন। আমার সঙ্গে শুক্রবার শেষ ওঁর কথা হয়। তখন স্বাভাবিক ছিলেন। দু’দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় ভেবেছিলাম তিনি বাড়ি থেকে বের হননি।’
আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের দাবি, গত দু’দিন ধরেই পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল আবাসনের আশেপাশে। সেটা মঙ্গলবার সহ্যাতীত হয়ে যায়। এরপরেই ওই আবাসনের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধের উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে বুঝতে পারেন, শিল্পীর বন্ধ ফ্ল্যাট থেকেই এই দুর্গন্ধ নির্গত হচ্ছে। বর্ধমান থানার পুলিশ জানিয়েছে, একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্ত করলে জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।