এই চুক্তি অনুয়ায়ী ২০২৩ সালে অর্থাৎ গত বছর বাংলাদেশ ৪৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। তবে টেকনিক্যাল কারণে শেষ পর্যন্ত আমদানি করা গেছিল ১৩০০ মেট্রিক টন। একইভাবে ২০২২ সালে ৪০০০ মেট্রিক টন দেওয়ার ব্যাপারে হাসিনা সরকার সম্মত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেশে আনা সম্ভব হয়েছিল ২৬০০ মেট্রিক টন রুপোলি শস্য। এবার কি হবে? উত্তর জানেন না ইলিশ আমদানিকারকরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল হিলশা ট্রেডার্স ফেডারেশন এর সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস জি ২৪ ঘণ্টা কে জানালেন, চুক্তি রিনিউইয়ালের সময় প্রায় এসে গিয়েছে। কিন্তু পালাবদল ঘটেছে বাংলাদেশে। হাসিনা সরকারের রফতানি বিভাগের আধিকারিকরা কেউ নেই। নতুন প্রশাসন এই ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবেন জানা নেই। নিলেও কবে নেবেন তাও ধোঁয়াশা। আবার চুক্তির সময় গড়িয়ে গেলে কোনওভাবেই সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে ইলিশ আনা সম্ভব নয়। কারণ ইলিশ আমদানির ক্ষেত্রে এই রাজ্যের ৩৮ জন মূল ট্রেডার পর্যাপ্ত সময় না পেলে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবেন না।
বাজারে এখন মূলত মায়ানমারের বড় সাইজের ইলিশ। বাঙ্গালী জামাইষষ্ঠী সেই ইলিশ দিয়েই সামাল দিয়েছে। বর্ষার মরসুম শুরু হয়েছে। এবার একে একে বাজারে আসতে শুরু করবে দিঘা মোহনা এবং ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ। কিন্তু যে ইলিশের স্বাদ পাওয়ার জন্য এপার বাংলার সারা বছরের অপেক্ষা সেই পদ্মার রানি ২০২৪ সালে আদৌ বাঙালির পাতে উঠবে কি?