• বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার রবীন্দ্র সঙ্গীত গবেষকের মৃতদেহ
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • পার্থ চৌধুরী: বর্ধমানের বিশিষ্ট সঙ্গীত গবেষক মানস বসু চলে গেলেন।  অকৃতদার ছিলেন। শহরের নীলপুরের একটি আবাসনে তিনি একাই থাকতেন। ঠাকুরবাড়ির সঙ্গীতচর্চা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তার মৌলিক গবেষণা রয়েছে।

    মঙ্গলবার রাতে আবাসনের আবাসিকরা দুর্গন্ধ পেয়ে সবাইকে জানান। খবর পেয়ে পুলিস আসে।  সকলের প্রচেষ্টায় তার দেহ বের করা হয়। অনুমান করা হচ্ছে,  তিনি দু-তিনদিন আগেই মারা গিয়েছেন। আবাসিকরা জানিয়েছেন, গত শনিবার তাকে শেষবার বাইরে দেখা গেছে। শনিবার দু একজনকে ফোনে চ্যাট করেছেন। তারপর আজ তার দেহ উদ্ধার হল।

    এই  মৃত্যুর খবর পেয়ে বর্ধমানের শিল্পী, সাহিত্যানুরাগী এবং তার আত্মীয় ও  গুণমুদ্ধ অনেকেই আবাসনে চলে আসেন। শহরের সঙ্গীতপ্রেমী মহলে  শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বর্ধমান সদর থানার পুলিসের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয় মানসবাবুর দেহ । পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে । আগামিকাল পোস্টমর্টেম হবার পর দেহ সরাসরি নির্মল ঝিল শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই সকলে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

    বর্ধমানের সংস্কৃতিপ্রেমী মহলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মানস বসু।  প্রচারবিমুখ,  শিল্পমগ্ন মানুষটি প্রয়াত বিধায়ক শ্যাম বসুর সম্পর্কিত ভাই। একাধারে সঙ্গীতশিল্পী, শিক্ষক,রবীন্দ্রানুরাগী মানুষটি বিভিন্ন বিষয়ে চর্চা করে গেছেন। জোড়াসাকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গীতচর্চা নিয়ে তার মূল্যবান গবেষণাগ্রন্থ আছে। তার দ্বিতীয় খন্ড সম্পূর্ণ। তারই প্রকাশের কথা চলছিল। বর্ধমান রাজবাড়ির সাহিত্যানুরাগ সহ নানা বিষয়ে তার জ্ঞানের পরিধি ছিল।  দ্বিতীয় গ্রন্থটি আর আলোর মুখ দেখলো না। তার আগেই নীরবেই চলে গেলেন মানস বসু।

    আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, গতকাল শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী নামে এক আবাসিক বলেন এই ফ্ল্যাট থেকে একটা পচা গন্ধ বের হচ্ছে। ওই কথায় খুব বেশি গুরুত্ব দিইনি। আজ যখন ডিউটি ধরি তখন দেখি তীব্র গন্ধ চারদিকে। শেষপর্যন্ত জানালার কাছে গিয়ে দেখি গন্ধটা খুবই তীব্র। এরপর সবাইকে ডাকাডাকি করি। এরপর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে তালা ভেঙে মানসবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওকে শেষ দেখা গিয়েছে শনিবার।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)