হকার উচ্ছেদের পর এবার মমতার টার্গেট টোটো, কড়া আইন তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ আগস্ট ২০২৪
রাজ্যজুড়ে টোটো-নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি টোটো বন্ধ করতে পরিবহন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রীকে আরও কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পড়তে থাকুন - বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার: VHP
মঙ্গলবার ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। সেখানেই টোটোকে আইনি বৈধতায় আনতে নীতিমালা তৈরির পরামর্শ দেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যে টোটোকে কেন্দ্র করে একাধিক গুরুতর সমস্যা তৈরি হয়েছে। জেলাসদর, মহকুমা সদরগুলিতে যানজটের অন্যতম কারণ এই টোটো। দোকান থেকে টোটো কিনে যে কেউ রাস্তায় চালাতে শুরু করে দিচ্ছেন। এমনিতেই অপরিসর রাস্তায় রোজ নতুন টোটো চলতে শুরু করায় যানজটের মুখে পড়ছেন শহরের বাসিন্দারা।
এছাড়া জাতীয় সড়কে নিয়ম ভেঙে উঠে পড়ছে টোটো। যার ফলে ভয়াবহ সব দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি মালদায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে বিক্ষোভে পুলিশের গুলি চালনার যে ঘটনা ঘটেছে তার পিছনেও টোটোকে দায়ী করেছে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম। তাদের দাবি, প্রতিদিন রাত ৯টা বাজলেই গোটা এলাকায় হাজার হাজার টোটো চার্জিংয়ে বসানো হয়। যার জেরে ভোল্টেজ কমে যায়। বেআইনি এই সব টোটো চার্জ দেওয়া হয় বাড়িতে ব্যবহারের জন্য নেওয়া বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে। যদিও তা ব্যবহার করা হয় বাণিজ্যিকভাবে।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে টোটোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। সেজন্য নীতি তৈরি করতে হবে পরিবহন দফতরকে। এছাড়া রাজ্য সরকারি বাসের সংখ্যা কমলেও কেন তেল খরচ বাড়ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপির দাবি, রাজ্যে বেআইনি টোটোর বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী তৃণমূল। শাসকদলের নেতারাই টাকার বিনিময়ে নতুন টোটো রাস্তায় নামাচ্ছেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে শহরাঞ্চলে তৃণমূলের পিছিয়ে থাকার প্রবণতা চিন্তায় ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপ করছেন তিনি। তারই জেরে বেআইনি উচ্ছেদ সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার নির্দেশ দিলেন বেআইনি টোটো বন্ধ করতে।