• মন্ত্রিসভায় রদবদলে সিলমোহর, অবশেষে ২৭ দিন পর ফাইলে সই করে ছাড়লেন রাজ্যপাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ আগস্ট ২০২৪
  • এবারের লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বিধায়ক জিতে সাংসদ হয়েছেন। তাই তাঁদের পদ খালি হয়েছে। আবার সদ্য অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর অভব্য আচরণের জন্য। সেক্ষেত্রে কারা দফতরের মন্ত্রী নেই। নতুন করে মোট ৬ জন বিধায়ক জিতে এসেছেন। তাই মন্ত্রিসভার রদবদল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তা ফেলে রেখেছিলেন। গত ১০ জুলাই এই ফাইল নবান্ন থেকে এসে ছিল রাজভবনে। এবার ২৭ দিন পর সেই ফাইলে সই করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যপালের সই করা ফাইল পৌঁছে গিয়েছে নবান্নে। দুটি দফতরের মন্ত্রী রদবদল হবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ফাইলে সই করে দেওয়ায় মন্ত্রিসভায় রদবদল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নবান্ন সূত্রে খবর, কয়েকটি দফতরের রদবদল হতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’‌একজন মন্ত্রীর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার দু’‌একটি দফতরে সামান্য রদবদলও হতে পারে। সদ্য কারামন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অখিল গিরি। সোমবার ওই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং কার ভাগ্যে কোন দফতর যাবে, কে কোন দফতরের মন্ত্রী হবেন সেটা কদিনের মধ্যেই জানা যাবে।

    অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৯ অগস্ট ঝাড়গ্রাম সফরে যাবেন। সেখানে যাওয়ার আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন। আবার ঝাড়গ্রাম সফর থেকে ফিরে রদবদলের কথা ঘোষণা করতে পারেন। এই দুটি সম্ভাবনার কথাই শোনা গিয়েছে নবান্ন থেকে। শীঘ্রই নবান্নের পক্ষ থেকে রদবদল নিয়ে অর্ডার করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। পার্থ ভৌমিক সাংসদ হয়ে যাওয়ায় সেচ দফতরের মন্ত্রী হতে চলেছেন মানস ভুঁইয়া বলে সূত্রের খবর। আর কারামন্ত্রী কে হতে পারেন সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। একপক্ষ বলছেন, উত্তম বারিক। অন্যপক্ষ বলছেন, যে ৬ জন বিধায়ক জিতে এসেছেন তাঁদের মধ্যে থেকে কেউ হতে পারেন।

    তবে মন্ত্রিসভায় কাকে মন্ত্রী করা হবে এবং কোন দফতরের মন্ত্রী করা হবে সেটা সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। ফলে শেষ সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। রাজ্যপালের বা অন্য কারও এক্ষেত্রে কোনও এক্তিয়ার নেই। কিন্তু সাংবিধানিক পদে যেহেতু রাজ্যপাল আছেন, সবাইকে শপথ পাঠ করান এবং এটা, ‘তাঁর সরকার’ বলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সাক্ষর প্রয়োজন হয় রাজ্যপালের। ফাইল সই করে পাঠায় রাজভবন। তাই সেটা নিয়ে চলছিল গড়িমসি। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়াদিল্লিতে এক বৈঠকে বলেছিলেন, রাজ্যপালদের সেই রাজ্যের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হবে। আর তারপরই এই ফাইলে সই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)