• ‘বন্ধু’ উদ্ধবের ডাকে সাড়া দিয়ে মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে যাচ্ছেন মমতা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্ধুত্ব বাড়ছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার শিবিরগুলির মধ্যে। এনডিএ জোট সরকারের বিরোধিতায় সংঘবদ্ধ হচ্ছে ইন্ডিয়ার শিবিরগুলি। এবার ‘বন্ধু’ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ডাকে সাড়া দিয়ে মহারাষ্ট্রে পাড়ি দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটপ্রচারে যাবেন তিনি। উদ্ধব ঠাকরের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর দলের প্রার্থীদের হয়েই মহারাষ্ট্রে জনসভা করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার দিল্লিতে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।

    উদ্ধব তাঁকে জানান, মমতা তাঁকে কথা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ভোট প্রচারে যাবেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর কর্মসূচি নিয়ে উদ্ধব একপ্রস্থ আলোচনা করেন ডেরেকের সঙ্গে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা ও উদ্ধবের রাজনৈতিক সুসম্পর্ক বহু পুরনো। বিরোধী জোট ইন্ডিয়া গঠনের পর সেই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচন মিটতেই মমতার নির্দেশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও পাড়ি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে, দেখা করে রাজনৈতিক সৌজন্য বিনিময় করেছিলেন উদ্ধবের সঙ্গে। এখানেই শেষ নয়, বস্তুত ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে উদ্ধব এবং মমতার রাজনৈতিক সম্পর্কের আলাদা রসায়ন রয়েছে। সদ্য আম্বানি পুত্রের বিয়েতে গিয়েও উদ্ধবের সঙ্গে কথা হয়েছে মমতার।

    উল্লেখ্য, মমতা বন্দোপাধ্যায় দেশে বিজেপি বিরোধী গ্রহণযোগ্য ‘মুখ’দের মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শিবির। তাই মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে হারাতে মমতার সাহায্য চাইছেন উদ্ধব। তিনি প্রচারে গেলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই আরও দানা বাঁধবে বলে মনে করছেন শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের প্রধান। সেকারণেই প্রচারে মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। মমতা এবং অভিষেকের যৌথ প্রচার যেভাবে লোকসভা ভোটে বাংলা জুড়ে বিজেপি বিরোধী ঝড় তুলেছে, তাতে নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রীর ডাক মহারাষ্ট্রের বুকেও বিজেপি বিরোধী প্রভাব ফেলবে। সেই আশা নিয়েই উদ্ধব এবার মমতার সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। পাশাপাশি মমতাও বন্ধু উদ্ধবের ডাকে সাড়া দিয়ে মহারাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।

  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)