• শহরজুড়ে জ্বরের প্রকোপ, মাস্ক পরতে পরামর্শ! ফিরছে কোভিড?
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শহরজুড়ে চারদিকে জ্বরের প্রকোপ। আট থেকে আশি কাবু হচ্ছেন প্রায় প্রত্যেকে। হঠাৎ এই জ্বরের কারণ কী? এই জ্বর থেকে বাঁচতে গেলে কী কী করা উচিত বা কোনগুলো একদমই করা উচিত নয়, সেই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বললেন শহরের দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক তাপস রায় এবং সৌরেন পাঞ্জা। তাঁদের মতে, এই জ্বরটা কিছু ক্ষেত্রে নর্মাল ইনফ্লুয়েঞ্জা হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া আবার কোভিডেরও প্রকারভেদ হতে পারে।

    সাধারণভাবে জ্বর এলে প্যারাসিটামল খাওয়াই একমাত্র উপায় বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। তবে জ্বর, সর্দি কাশি থাকলে আশেপাশে মানুষদের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখতে বলছেন এই চিকিৎসকরা। মাস্ক ব্যবহার করতে বলছেন। একইসঙ্গে বাচ্চাদের যদি বিন্দুমাত্র শরীর খারাপ থাকে সেক্ষেত্রে তাদেরকে স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। রাস্তার খাবার বা রাস্তার জলকেও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ওদিকে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি এক গৃহবধূর মৃত্যু হল জিরাট হাসপাতালে। মৃতার নাম সাধনা দাস (৪৭)।

    বাড়ি বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঠ ফতেপুর গ্রামে। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন চার দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন মহিলা।বাড়িতেই ছিলেন। জ্বর না কমায় হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করান। রিপোর্টে এনএস১ ডেঙ্গি ভাইরাস পজিটিভ আসে। বমি, পায়খানা শুরু হলে গতকাল রাতে জিরাট আহমেদপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। হুগলি জেলায় প্রায় ২৫০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।

    তার মধ্যে বলাগড় ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি। বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়ায় ডেঙ্গি বাড়তে থাকায় সেখানে সম্প্রতি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে ডেঙ্গি স্ক্রিনিং ক্যাম্প করা হয়। জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষার সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়। ডেঙ্গির উপসর্গ থাকলে হাসপাতালে যেতেও বলা হয়। এলাকার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর খুশি নয় গ্রামবাসীরা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)