গোবিন্দ রায়: উচ্চশিক্ষার জন্য ‘স্টাডি লিভ’ চেয়েও পাননি। বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক। কেন ছুটি দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে, বুধবার ওই মামলার শুনানিতে তা জানতে চাইলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে ছুটি না দিতে পারার কারণ জমা দিতে বলা হয়েছে।
কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম। ২০১৬ সাল থেকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তিনি। বর্তমানে সার্জারি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। সে কারণে ‘স্টাডি লিভে’র আবেদন করেন। চিকিৎসকের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ৪৮৯ জন চিকিৎসককে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয়েছে। তাই চিকিৎসকের সংকট দেখা দিয়েছে। আরও চিকিৎসককে যদি ‘স্টাডি লিভ’ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে। সে কারণে সিরাজুল ইসলামকে কোনওভাবে ‘স্টাডি লিভ’ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে বলেই দাবি তাঁর। রাজ্যের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক সিরাজুল।
বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। কেন একজন এমবিবিএস চিকিৎসককে ‘স্টাডি লিভ’ দেওয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, বাংলার সরকারি হাসপাতালে রোগীদের লম্বা লাইন। অথচ তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের আকাল। তাই কোনও চিকিৎসককে ‘স্টাডি লিভ’ দেওয়া সম্ভব নয়। ‘স্টাডি লিভ’ দিতে কী কী সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ হাই কোর্টের। তার পরই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হবে।