• ডেঙ্গুর দোসর ম্যালেরিয়া, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: ডেঙ্গুর সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানে চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া। জেলায় কয়েক মাসে ৮২জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে মৃত্যুর খবর নেই। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। বর্ধমান শহরের রসিকপুরের একটি এলাকাতেই ২৩জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন ডেঙ্গুর দাপট কিছুটা কমলেও স্বস্তিতে নেই স্বাস্থ্যদপ্তর। আধিকারিকদের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। ডেঙ্গুর লার্ভা জন্মানোর পরিবেশ নতুন করে তৈরি হয়েছে। জেলার বাসিন্দারা সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে দিলে ডেঙ্গু দাপট দেখাতে পারে। ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ম্যালেরিয়া নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই। তবে সচেতন হতে হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় বলেন, ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার একসঙ্গে দাপট দেখা দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য কর্মীরা সচেতন রয়েছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন।মশার দৌরাত্ম্য‌ কমাতে বর্ধমান শহরে সকাল এবং বিকেল দু’বেলা সাফাইকর্মীরা কাজ করবেন। তাঁরা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেই দু’বেলা আবর্জনা সংগ্রহ করবেন। শহরের বেশকিছু এলাকায় জল জমে রয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গু কর্মীরা এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সচেতন করছেন। ডেপুটি সিএমওএইচ বলেন, এখন অনেকেই ভাইরাল ফিভারেও ভুগছেন। চার পাঁচদিন পর তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর না সারলে রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। চিকিৎসকদেরও পরামর্শ নিতে হবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, প্রতি বছরই এইসময় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। গরম থেকে এসে হঠাৎ করে গায়ে জল ঢালা উচিত নয়। ঠান্ডা জলও এড়িয়ে যেতে হবে। ভাইরাল ফিভার হলে আতঙ্কের কিছু নেই। তবে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। 

    স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে গলসিতে জ্বরে ভুগে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন। ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার কারণে তিনি মারা গিয়েছেন কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া হলে কী ধরনের উপসর্গ হতে পারে তা মাইকিং করে জনগণকে জানানো হচ্ছে। কিন্তু তারপরও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বাড়িতে জল জমিয়ে রাখছেন। জেলা প্রশাসনের দাবি, বিভিন্ন নর্দমা এবং জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। টায়ারের দোকানগুলিতে লাগাতার অভিযান চালানো হবে। বাতিল টায়ার দোকানের বাইরে ফেলে রাখা হয়। তাতে জল জমে মশার লার্ভার জন্ম নিচ্ছে। দোকান মালিকদের গতবছরই সতর্ক করা হচ্ছে। এবার আচমকা অভিযান চালিয়ে দোকান মালিকদের জরিমানা করা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)