• চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগরের বাসিন্দারা বানভাসির আতঙ্কে প্রহর কাটাচ্ছেন
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: জল বেড়ে যাওয়ায় নবদ্বীপের চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতের ভেরি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। সে ক্ষেত্রে তিনটি পঞ্চায়েতের বেশ কয়েক হাজার মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়বেন। জল আরও বাড়লে তিনটি পঞ্চায়েত প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কয়েক হাজার গ্রামবাসী। ভাগীরথীর জল এখন বিপদ সীমার সামান্য নীচ দিয়ে বইছে। কিন্তু এই বাঁধ যদি ভেঙে যায় তবে শুধু চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর নয়, মাজদিয়া-পানশিলা, স্বরূপগঞ্জ এই তিনটি পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ বিপন্ন হবেন। নষ্ট হবে কৃষিজমির ফসল। উল্লেখ্য, চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতের ভাগীরথী তীরবর্তী দেড় কিলোমিটার লম্বা এই বাঁধ।

     সিএমসিবি পঞ্চায়েতের সেবক সমিতি মাঠ থেকে গৌরাঙ্গ সেতু সংলগ্ন রাজ্য সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বাঁধটি প্রায় ৩০০ মিটার পাকা। তারপরে বাকি ৬০০ মিটার ইট পেতে বসানো। বাকি অংশটা এখনও সম্পূর্ণই মাটির। বর্তমানে বাঁধের বেশ কিছু জায়গা ভেঙে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, যদি নদীতে এক থেকে দেড় হাত জল বাড়ে তবে যে কোনও মুহূর্তে বাঁধের বেশকিছু অংশ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

    স্থানীয় কৃষক নবকুমার ঘোষ বলেন, এখন এই বাঁধই আমাদের রক্ষা করে। প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে এই বাঁধ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন এটি মেরামত না হওয়ায় বাঁধের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে এক থেকে দেড় হাত জল বাড়লেই পাট, ধান,ভুট্টা, বিভিন্ন সব্জি সহ বহু কৃষিজমি জলের তলায় চলে যাবে। আমরা স্থানীয় কৃষকরা মাটি ফেলি ভাঙা জায়গায়। কিন্তু এভাবে কি জল আটকানো যাবে।

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব সাহা বলেন, আমি ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার ছিলাম। সিএমসিবি পঞ্চায়েতের সেবক সমিতির খেলার মাঠ থেকে বেশ কিছুটা অংশ ঢালাই করা হয়। তারপরে  ৬০০ মিটার ইট পেতে রাস্তা করা হয়। তবে বাদবাকি অংশটা এখনও কাঁচা রয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে মেরামতি করা হয়েছিল। দু’ বছরের বেশি সময় ধরে একশো দিনের কাজ হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই কাজ বন্ধ। বাঁধটি বেশ কিছু জায়গায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবিলম্বে যদি বাঁধ মেরামতি ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে জল বাড়লে শুধু চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েত নয়, পার্শ্ববর্তী মাজদিয়া-পানশিলা এবং স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের বেশকিছু অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুলতা দাস বলেন, অনেকবারই ভাগীরথীর জল বেড়েছে। কিন্তু এই বাঁধের কারণে ছোটখাটো প্লাবন এড়ানো গিয়েছে। আমরা বারবার বাঁধ সারানোর বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতিকেও বারবার জানিয়েছি। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)