• বৃষ্টি কমলেও জলবন্দি রায়নার আনগোনা গ্রাম, দুর্ভোগে বাসিন্দারা 
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: বৃষ্টি থেমেছে, দুর্যোগের ঘনঘটা নেই। কিন্তু এখনও দুর্ভোগ কমেনি রায়নার আনগোনা গ্রামের বাসিন্দাদের। এখানকার দাসপাড়া, বাগদিপাড়ার বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। বাড়ির ছোটরা দরজার বাইরে বেরতে পারছেন না। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরও একই অবস্থা। যুবক-যুবতীরা প্রয়োজন হলে কোমর জল পেরিয়ে বাজার করতে যাচ্ছেন। ওই দুই পাড়ার পড়ুয়াদের স্কুল বা কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জল নামতে আরও কয়েকদিন সময় গড়িয়ে যাবে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। ততদিন এভাবেই দিন কাটাতে হবে। 

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হলেই বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীকান্ত রুইদাস বলেন, খুব খারাপ অবস্থা। ছেলে-মেয়েরা বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যা হবে। বৃষ্টি হলে আবার জল বাড়বে। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক থাকলে এই অবস্থা হতো না। গ্রামের বাসিন্দকা নিমাই দাস, চণ্ডীচরণ দাসরা বলেন, বাড়িতে থাকতেই ভয় করছে। জলের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পোকা, সাপ ভেসে আসছে। যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে। গ্রামের রাস্তায় কোথাও কোমর আবার কোথাও হাঁটুসমান জল জমে রয়েছে। জমিও জলের তলায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য রায়নার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের খেসারত দিতে হয়। চারদিন আগে এলাকার বাসিন্দারা বাঁকুড়া মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। প্রশাসন বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাইসমিল রয়েছে। নোংরা আবর্জনা ড্রেনে পড়ে তা মজে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টি হলেই জল নালা উপচে  যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে জমি জলের তলায় থাকায় অনেক জমির ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সদ্য রোপণ করা জমিগুলির অবস্থা সবথেকে খারাপ বলে চাষিরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, বৃষ্টি না হলেও তিন চারদিনের মধ্যেই জল নেমে যাবে। ততদিনে অবশ্য অনেক জমির ক্ষতি হয়ে যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)