• স্বাভাবিক হয়নি বাঁকুড়ায় পানীয় জলের পরিষেবা
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: দুর্গাপুর ব্যারেজে জলস্তর না কমার ফলে বাঁকুড়ায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বাঁকুড়া শহর সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল অনিয়মিতভাবে সরবরাহ হওয়ায় বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। অন্যান্য জলাধার থেকে জল ছাড়া ও বৃষ্টির কারণে উচ্চ অববাহিকা অঞ্চল থেকে প্রচুর কচুরিপানা ভেসে ব্যারেজে জমা হওয়ায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। জলস্তর না কমা পর্যন্ত সমস্যার সুরাহা হবে না বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। 

    ওই দপ্তরের বাঁকুড়া ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার আশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বড়জোড়ার প্রকল্প থেকে আমরা দৈনিক ৬৫০ লক্ষ লিটার পানীয় জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করি। গত কয়েকদিন ধরেই সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। বুধবার ৫০০ লক্ষ লিটার জল সরবরাহ করা গিয়েছে। ফলে এদিনও অনেক এলাকায় পানীয় জল পৌঁছয়নি। তবে বড়জোড়ার একটি কারখানায় কয়েকদিন ধরে জল সরবরাহ করা যাচ্ছিল না। সেখানে এদিন জল দেওয়া গিয়েছে। 

    তিনি আরও বলেন, ব্যারেজে মাত্রাতিরিক্ত কচুরিপানা জমে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় বসানো পাম্পের পাইপের মুখে কচুরিপানা আটকে যাচ্ছে। ফলে জল উত্তোলনে সমস্যা হচ্ছে। কচুরিপানা সরাতে আমরা নদীয়া থেকে আগেই দু’জন ডুবুরি এনেছিলাম। বুধবার আরও চারজন ডুবুরিকে ওই জেলা থেকে আনা হয়েছে। ছ’জন এদিন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে পাইপের মুখে জমে থাকা পলি ও আবর্জনা সরানোর জন্য একটি মেশিন নামানো প্রয়োজন। তারজন্য ব্যারেজে ভেসেল নামাতে হবে। হাওড়া থেকে সেই ভেসেল এদিন আনা হচ্ছিল। কিন্তু, বর্ধমানে পুলিস ওই ভেসেলবহনকারী যানবাহনকে আটকে দিয়েছে। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেসেলের আয়তন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে জানিয়ে পুলিস আপত্তি তুলেছে। তবে আলোচনার মাধ্যমে ওই সমস্যা মিটে যাবে বলে আমরা আশা করছি। সেক্ষেত্রে আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ব্যারেজে ভেসেলটি পৌঁছে যেতে পারে। জলস্তর না কমা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে না। নতুন করে বৃষ্টি না হলে ব্যারেজে জলস্তর কমতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণ ক্ষমতা অনুযায়ী পাম্প চালানোর চেষ্টা করব। 

    জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রকল্প থেকে বাঁকুড়া শহর, বাঁকুড়া-১ ও ২ এবং বড়জোড়া ব্লকে জল সরবরাহ করা হয়। বড়জোড়ার কারখানাতেও প্রকল্প এলাকা থেকে জল যায়। ফলে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে সমস্যা হয়। শহরে বাঁকুড়া পুরসভা নিজস্ব পাম্প হাউস থেকে জল সরবরাহ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে বর্ষার কারণে ওই জল ঘোলা থাকছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। গ্রামীণ এলাকার মানুষ সেই জলটুকুও পাচ্ছে না। ফলে তাঁরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ( প্রতীকী ছবি  )
  • Link to this news (বর্তমান)