• বিপজ্জনক আবাসন দখল করে বসবাস, প্রশ্নের মুখে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: দীর্ঘদিনের আবাসন। সংস্কারের অভাবে বিপজ্জনক অবস্থা। পূর্তদপ্তর সেই আবাসন চিহ্নিত করে সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেই পরিত্যক্ত আবাসনেই মানুষ বসবাস করছেন। অবৈধভাবে তা দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই আবাসন দখলের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুতের বিল বাড়ছে। 

    রাজ্য সরকারের তরফে সব সরকারি হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ ও দপ্তরে বিদ্যুত্ অপচয় বন্ধের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুত্ অপচয় রোধে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করে তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এখনও সেই নোডাল অফিসার নিয়োগ করেনি। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধে নজরদারিও শুরু করেনি। যার পরিণামে আউটডোরে রোগী দেখার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও অনবরত বাতি জ্বলে, ফ্যান চলে। 

    এই অভিযোগের জবাবে হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, আমাদের কর্মীর অভাব রয়েছে। তাই বিদ্যুত্ অপচয় রোখার আবেদন জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে স্টিকার আটকে দেওয়া হবে। সুপারের এই বক্তব্যে দায়িত্ব ও বিতর্ক এড়ানোর দিকটি দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। পরিত্যক্ত আবাসন এবং বিদ্যুতের ব্যবহারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে চূড়ান্ত গাফিলতির দিকটি ধরা পড়ছে। চতুর্থশ্রেণির কর্মীদের আবাসনের দু’টি ব্লক অনেকদিন আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও সেই আবাসন কীভাবে এবং কার প্রভাবে দখল করে রাখা হয়েছে, সেখানে এখনও বিদ্যুতের সংযোগ কেন রয়েছে,তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

    পরিত্যক্ত আবাসনের দু’টি ব্লকই নয়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের অন্য আবাসনগুলির লাগোয়া ফাঁকা জায়গায় অনেক ঝুপড়ি গজিয়ে উঠেছে। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবাসন থেকে সেই ঝুপড়িতে বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। সেখানে বাইরের লোকদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। 

    কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য এভাবে হাসপাতালের জমিতে অবৈধ ঘর তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিদ্যুতের এই লাগাতার অপচয়ের জন্য বড় অঙ্কের বিল আসছে। চোখের সামনে এই অনিয়ম দেখেও কর্তৃপক্ষের নীরবতায় বিস্মিত ওয়াকিবহাল মহল। 

    এ প্রসঙ্গে সুপার বলেন, বিপজ্জনক আবাসন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে বলেই শুনেছি। সেখানে কে থাকছে, অবৈধভাবে কারা ঘর বানাচ্ছে, এগুলি পূর্তদপ্তরের দেখার কথা। 

    যদিও পূর্তদপ্তর জানিয়েছে, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখবে। পূর্তদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আমরা আবাসনের দু’টি ব্লকই পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি। সংস্কারের জন্য রাজ্যে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন এলেই ভবন সংস্কার হবে। 

    ( বিপজ্জনক আবাসন। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)