• ডেঙ্গু নিয়ে এবার ভয় ধরাচ্ছে সদর ব্লক
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: প্রতিবার চা বলয়ে চোখ রাঙায় ডেঙ্গু। কিন্তু, এবার ছবিটা উল্টো। ভয় ধরাচ্ছে খোদ সদর ব্লক। জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য বলছে, চা বলয় অধ্যুষিত মাল ব্লকে যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫, সেখানে সদর ব্লকে আক্রান্ত ৪০। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস পাঁচটি। প্রতিদিনই সদর ব্লকে একটি-দু’টি করে ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মিলছে। কেন এই পরিস্থিতি, সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। 

    স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, জলপাইগুড়িতে ডেঙ্গু মাথাচাড়া দেয় সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসের পর। কিন্তু, এবার আগস্টেই যদি এই ছবি হয়, তাহলে বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে। ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ত্রিদীপ দাস বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝাঁপাতে বলা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার উপরই নজর দিচ্ছি আমরা। 

    জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য বলছে, জলপাইগুড়ি শহরে ২৫টি ওয়ার্ডে এবছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাত। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভার যে ১৪টি ওয়ার্ড পড়ে, সেখানে আক্রান্ত ১৮ জন। ধূপগুড়ি ব্লকে ২২, ময়নাগুড়ি ব্লকে সংখ্যাটা ১৯। 

    গতবছর জলপাইগুড়ি শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০। সেই নিরিখে শহরে এখনও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু, জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পুরবাসীর অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই নালা দিয়ে জল যাচ্ছে না। সেখানে জন্ম নিচ্ছে মশার লার্ভা। এমনকী হাসপাতালের পরিবেশও অত্যন্ত খারাপ। সুপার স্পেশালিটি কিংবা সদর হাসপাতাল ছবিটা একই। চারদিকে বর্জ্য। মশা-মাছি ভর্তি। না পুরসভা, না হাসপাতাল কারও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। 

    জলপাইগুড়ি সদর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রীতম বসু বলেন, এটা ঠিক, অন্যান্য ব্লকের চেয়ে এবার এখানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। কেন এমনটা, স্ক্রুটিনি করে দেখছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অলআউট ঝাঁপাতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ময়নাগুড়ির বিএমওএইচ ডাঃ সীতেশ বর বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা সজাগ। তবে এলাকায় ভাইরাল ফিভার বাড়ছে। আউটডেরে জ্বরের রোগীর লাইন পড়ছে। রক্ত পরীক্ষায় বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি। ধূপগুড়ির বিএমওএইচ ডাঃ অঙ্কুর চক্রবর্তী বলেছেন, ডেঙ্গু ছাড়াও বানারহাটে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। এবছর এখনও বানারহাটে ২১ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। মাল ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপঙ্কর কর ভৌমিক জানিয়েছেন, চা বলয়ে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটাই কম। স্বাস্থ্যকর্মীরা ভালো কাজ করছেন। বাগানের শ্রমিকদের মধ্যেও সচেতনতা ফিরছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)