নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ে রাশ টানতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল ইউজিসি। পাশাপাশি, পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের মধ্যে যে আদর্শ সম্পর্ক থাকা উচিত, সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে ইউজিসি। সেই নির্দেশিকা মেনে র্যাগিং রুখতে সাতদিন নানা কর্মসূচি পালন করবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে করা হবে র্যাগিং বিরোধী পথনাটিকা। সেই পথনাটিকায় সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকদের বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। ১২ আগষ্ট থেকে ১৮ আগষ্ট পর্যন্ত ক্যাম্পাসের অন্দরে চলবে র্যাগিংবিরোধী কর্মসূচি। সোমবার দুপুর বারোটায় ক্যাম্পাসের ল মোড় থেকে রামমোহন স্ট্যাচু পর্যন্ত র্যাগিং বিরোধী র্যালির মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হবে। প্রতিটি বিভাগ ও হস্টেলে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন অধ্যাপক ও প্রশাসনিক কর্তারা। বোঝানো হবে হস্টেলের আবাসিকদেরও।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত বলেন, ইউজিসি-র নির্দেশ অনুযায়ী ১২ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত অ্যান্টি র্যাগিং সপ্তাহ পালন করা হবে। ক্যাম্পাসে পথনাটিকা, র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সমস্ত বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক, প্রশাসনিক কর্তারা হাজির থাকবেন। ক্যাম্পাস থেকে র্যাগিং নামক ব্যধিকে উপড়ে ফেলতেই হবে। পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের মধ্যে আদর্শ সম্পর্ক গড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে এনবিইউতে ছাত্রী ও অধ্যাপকদের মধ্যে দু’টি ঘটনায় শোরগোল পড়ে। দু’টি ক্ষেত্রেই ছাত্রীদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। দুই পৃথক ঘটনায় দুই বিভাগীয় প্রধান অভিযোগের কাঠগড়ায়। একটি ঘটনায় ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এক বিভাগীয় প্রধান এখনও সাসপেন্ড। অপর একটি ঘটনায় আরেক বিভাগীয় প্রধান সম্প্রতি কারাবাস যাপন শেষ করে কাজে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী হস্টেলগুলোতে র্যাগিংয়ের ঘটনা রোজনামচায় পরিণত হয়েছে। সমস্ত ঘটনাই নথিবদ্ধ হয়েছে ইউজিসি-র হিসেব নিকেশের খাতায়। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠানের সুস্থ পরিকাঠামো ফিরিয়ে আনাই এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের। ক্যাম্পাসে ছাত্রী ও অধ্যাপকদের যে আদর্শ সম্পর্ক থাকা উচিত, তা ফিরিয়ে আনা এবং সমূলে র্যাগিং উপড়ে ফেলতে সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।