• পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে তৃতীয় দেশের নাগরিকদের পারাপার করতে ছাড়পত্র
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: চার বছর পর ফের ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি দিয়ে তৃতীয় দেশের নাগরিকরা বৈধ নথিপত্র দেখিয়ে পারাপার করতে পারছেন। ইতিমধ্যেই এনিয়ে বিদেশমন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তার ভিত্তিতে ১ আগস্ট থেকে তৃতীয় দেশের নাগরিকরা বৈধ নথিপত্র দেখিয়ে সীমান্ত পারাপার শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ও ভুটানের মতো দেশের ছ’জন নাগরিক সীমান্ত পারাপার করেছেন। 

    প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির জেরে  ২০২০ সালের ২১ মার্চ থেকে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত সিল করেছিল নেপাল সরকার। ওই সময় শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে ছাড় দিয়েছিল নেপাল। পরে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই বছরের ৮ এপ্রিল থেকে ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি পুরোপুরি সিল করা হয়। এরপর ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আরটিপিসিআর ও ভ্যাক্সিনেশনের দু’টি ডোজের শংসাপত্র দেখিয়েও দুই দেশের নাগরিকদের সীমান্ত পারাপারের ছাড়পত্র মেলে। তবে তৃতীয় দেশের নাগরিকদের জন্য তা বন্ধ থাকে। তবে কোভিড নিয়ন্ত্রণের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ভারত ও নেপাল ছাড়া তৃতীয় কোনও দেশের নাগরিকদের পারাপার বন্ধ ছিল। এতে ইদানিং দুই দেশে আসা বিদেশি পর্যটকদের সীমান্ত থেকে ঘুরে যেতে হচ্ছিল। অনেকে আবার সীমান্ত পেরিয়ে আসতেই গ্রেপ্তার হয়েছে। এনিয়ে মাঝেমধ্যেই সীমান্তের আধিকারিকদের সঙ্গে ঝামেলাও হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকার মতো দেশের নাগরিকদের। 

    পানিট্যাঙ্কি ইমিগ্রেশন বিভাগের ওসি যোগেশ ঠাকুরি বলেন, ভিসা দেখিয়ে এবার সীমান্তে পারাপার করতে পারবেন তৃতীয় দেশের নাগরিকরা। এর আগে ভারত ও নেপালের নাগরিকদের সীমান্ত পারাপারে ছাড়পত্র ছিল। বর্তমানে সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। 

    দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, বিদেশমন্ত্রক থেকে সীমান্ত খোলার জন্য চিঠি পেয়েছি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার অধীনে নেপালের দু’টি সীমান্ত রয়েছে। একটি হল পানিট্যাঙ্কি, অপরটি পশুপতি ফটক। এরমধ্যে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে তৃতীয় দেশের নাগরিকরা পারাপার করতে পারবেন।  
  • Link to this news (বর্তমান)